বিদ্যুৎ-জ্বালানির বিশেষ বিধান আইন বাতিল করে গেজেট প্রকাশ

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০’ বাতিল করে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনের পর এই গেজেট প্রকাশ করা হয়। এতে সই করেছেন লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরী।

এতে বলা হয়েছে, এই অধ্যাদেশ বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৪ নামে অভিহিত হবে। যা অবিলম্বে কার্যকর হবে।

তবে আইনটি বাতিল হলেও বাতিল হওয়ার আগে এ আইনের আওতায় সম্পাদিত চুক্তি বা সম্পাদিত চুক্তির অধীন গৃহীত কোনো ব্যবস্থা বৈধভাবে সম্পাদিত বা গৃহীত হবে। উক্ত আইনের আওতায় সম্পাদিত চুক্তির অধীন চলমান কোনো কার্যক্রম এমনভাবে অব্যাহত থাকবে অথবা নিষ্পন্ন করতে হবে যেন উক্ত আইন রহিত হয় নাই; এবং সরকার জনস্বার্থে উক্ত আইনের অধীন গৃহীত কোনো কার্যক্রম পর্যালোচনা করার অধিকার সংরক্ষণ করবে ও উক্ত কার্যক্রমের বিষয়ে যে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে।

এর আগে, গত ২০ নভেম্বর ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ জারির প্রস্তাব নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ।

অধ্যাদেশ অনুমোদনের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানানো হয়, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর ধারা-৬ এর অধীন বিদ্যুৎ উৎপাদন চুক্তি সম্পাদন বিষয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা বিষয়ে জনমনে প্রবল বিরূপ ধারণা তৈরি হয়েছে। গত ১৪ নভেম্বর ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০’ এর ধারা ৬(২) ও ধারা ৯ হাইকোর্ট বিভাগ অবৈধ ঘোষণা করেছেন। এজন্য আইনটি বাতিল করা হচ্ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী সময়ে সরকার প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

তবে ২০১০ সালের এই আইনটি বাতিল করা হলেও আইনের অধীনে হওয়া চুক্তি বাতিল হবে না বলে জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হওয়া এ আইনের অধীনে বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে অর্থ লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে। সে কারণে সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার এসে প্রথমে আইনটি স্থগিত ও এবার তা বাতিল করেছে।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
মঙ্গলবারও চলবে প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি, স্থগিত বার্ষিক পরীক্ষা Dec 01, 2025
img

নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল

ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা Dec 01, 2025
img
পেসারদের ভেতর প্রতিযোগিতা ইতিবাচক বলে মনে করেন টেইট Dec 01, 2025
img
ইমরান মাহমুদুলের সুরে আসছে তাসনিয়ার নতুন গান Dec 01, 2025
img
আদালতে হাজির হলেন নেতানিয়াহু Dec 01, 2025
img
আমি মেসি হতে চাই না: লামিন ইয়ামাল Dec 01, 2025
মিগ-২৯ নিয়ে খামেনির নতুন সামরিক পরিকল্পনা Dec 01, 2025
গাজীপুরে কুরআন তেলাওয়াত করে বেগম জিয়ার জন্য দোয়া প্রার্থনা Dec 01, 2025
img

জবানবন্দিতে সাক্ষী

‘হঠাৎ স্লোগান দিতে দিতে পিলখানায় ঢোকে ২৫ জন’ Dec 01, 2025
img
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন জামায়াতের জেলা আমির Dec 01, 2025
img
সেন্টার দখল করে ক্ষমতার চেয়ারে বসবেন সেদিন ভুলে যান : চরমোনাই পীর Dec 01, 2025
img
মসজিদে বিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন শবনম ফারিয়া Dec 01, 2025
img
জাতীয় পার্টি নিয়ে কুসুম কুসুম প্রেম চলবে না: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী Dec 01, 2025
img
আদালতের রায়কে ‘প্রহসন’ আখ্যা দিলেন টিউলিপ সিদ্দিক Dec 01, 2025
img
শ্রীলঙ্কায় ঘূর্ণিঝড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৫৫ Dec 01, 2025
img
মায়ের নামে প্লট বরাদ্দ নিতে বিদেশ থেকে ফোন করেছিলেন টিউলিপ: আদালত Dec 01, 2025
img

জিল্লুর রহমানের বিশ্লেষণ

ফাঁসির রায়, জুলাই সনদ আর তরুণ ভোট : কোন দিকে যাচ্ছে নতুন বাংলাদেশ? Dec 01, 2025
img
শাকিবের ‘প্রিন্স’-এ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অ্যালেন স্বপন! Dec 01, 2025
প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের ঐতিহাসিক স্থাপনা কুমিল্লার চণ্ডীমুড়া Dec 01, 2025
বেগম জিয়ার নেতৃত্বে আগামী নির্বাচন? যা বললেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী দিপু Dec 01, 2025