রাজধানীর তিনটি থানায় দায়ের হওয়া পৃথক আরও পাঁচটি মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান ও সাবেক তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গ্রেপ্তার দেখানো অন্যদের মধ্যে আছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব ও এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজীবুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান, আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফা জামাল ও রোকেয়া জামান এবং পুলিশ কনস্টেবল শোয়াইবুর রহমান।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ এ আদেশ দেন। এর আগে, কারাগার থেকে তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা তাদের নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। বিচারক সে আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর মধ্যে, ২০১৫ সালে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় আনিসুল হক, জুনাইদ আহমেদ পলক ও সাদেক খানকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত। একইবছর খালেদা জিয়ার ওপর রাজধানীর শাহবাগ থানাধীন এলাকায় হামলার মামলায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বিএনপিকর্মী মকবুল হত্যা মামলায় নজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত। যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফা জামাল ও রোকেয়া জামানকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত।
এছাড়া পল্টন থানাধীন রমজান মিয়া জীবন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে কনস্টেবল শোয়াইবুর রহমানকে।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ আগস্ট গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নৌপথে পলায়নরত অবস্থায় রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন রাতে রাজধানীর খিলক্ষেত থানাধীন নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় জুনাইদ আহমেদ পলককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর ২২ আগস্ট রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে রাশেদ খান মেননকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২৬ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে ইনুকে গ্রেপ্তার করে ডিবির একটি টিম।