বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করে চুলের যত্ন নিলেও বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয় চুল। চুলের যত্নে চুল বহু যুগ আগে থেকেই ব্যবহার করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যোজ্জ্বল, লম্বা ও ঘন প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে চুলের গোড়া শক্তিশালী করে তেল। বহু কাল আগে থেকেই বিভিন্ন ধরনের তেল চুলে ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে অনেকেই জানেন না কোন তেল চুলে কেমন ভূমিকা রাখে। লাইফস্টাইল বিষয়ক মার্কিন ওয়েবসাইট ট্রাঙ্গেল ট্রেজারের এক প্রতিবেদনে বিভিন্ন তেলের উপকারিতা তুলে ধরেছেন বিশেষজ্ঞরা।
নারিকেল তেল: চুলের যত্নে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় নারিকেল তেল। এটা চুলের জন্য দারুণ উপকারী। এতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড যা চুলকে ময়েশ্চারাইজড করে। পাশাপাশি নারিকেল তেল চুল সিল্কি এবং শাইনি করে।
আর্গান অয়েল: আর্গান গাছের বীজ থেকে এই তেল সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। এই তেলে আছে ভিটামিন ই সহ বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস রয়েছে। চুলে ফ্রিজিনেস এবং ড্রাইনেসের সমস্যা থাকলে আর্গান ওয়েল ব্যবহার করতে হবে।
ক্যাস্টর অয়েল: চুল শাইনি করে ড্যামেজ রিপেয়ার করতেও কার্যকরী ভূমিকা রাখে ক্যাস্টর অয়েল। স্ক্যাল্পের জন্য ক্যাস্টর অয়েল খুবই উপকারী, কারণ এটি অ্যান্টি- ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ট্রিটমেন্ট হিসেবে কাজ করে থাকে।
আমন্ড অয়েল: চুলের যত্নে আমন্ড অয়েল খুব উপকারী। চুল ও স্ক্যাল্প ভালো রাখতেও দারুণ কাজ করে ভিটামিন ই-তে ভরপুর এই তেল। ভিটামিন ই ছাড়াও আমন্ড অয়েলে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ম্যাগনেশিয়ামের মতো উপাদান। নিয়মিত এই তেল মাখলে দূর হয় খুশকির সমস্যা, চুলের গোড়া মজবুত হয়। চুল পড়া কমাতে ভূমিকা রাখে এই তেল।
অলিভ অয়েল: চুলে অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যাবে। তবে অলিভ অয়েল খুব আস্তে আস্তে কাজ করে চুলের ঘনত্ব বাড়িয়ে তোলে। যাদের চুলের উজ্জ্বলতা হারিয়ে গেছে এবং দেখলে নিষ্প্রাণ মনে হয় তারা যদি অলিভ অয়েল হালকা গরম করে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করে তাহলে ব্লাড সার্কুলেশন বেড়ে যাবে।