ছয়টি সংস্কার কমিশন শিগগিরই তাদের প্রস্তাবনা জমা দেবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, ২০০৭-০৮ সালের মতো সংস্কার যাতে গালিতে পরিণত না হয়, সেই লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের জন্য সংলাপ : জনপ্রশাসন-বিষয়ক সংলাপ’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন বদিউল আলম।
‘স্বৈরতন্ত্র আর যাতে ফিরতে না পারে, সেজন্য সংস্কার প্রয়োজন’ মন্তব্য করে বদিউল আলম বলেন, ‘দোষীদের বিচার নিশ্চিত ও স্বৈরতন্ত্র আর যেন ফিরে না আসে, সে লক্ষ্যেই জুলাই আন্দোলন হয়েছে। আর এ সংস্কারগুলো যদি হয়, তবে সেই লক্ষ্য বাস্তবায়ন হবে। সরকারের কাছে আমরা আমাদের প্রস্তাব দেব। তারা যদি সেগুলোকে সঠিকভাবে কাজে লাগায় তাহলে লক্ষ্য বাস্তবায়ন হবে।’
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘সংস্কারের প্রস্তাব পাওয়ার পর বল অন্যদের কোর্টে চলে যাবে। এরপর মূল কাজ সরকার, নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দলের।’
জনগণের স্বার্থে জনপ্রশাসনের কাজ করা উচিত মন্তব্য করে নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, ‘জনপ্রশাসন জনগণের প্রশাসন হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তা হয়ে উঠেনি। জনপ্রশাসনের উচিত জনগণের স্বার্থে কাজ করা। তবে ৫৩ বছরেও সেটি বাস্তবায়ন হয়নি। জনপ্রশাসন এখনও ব্রিটিশ নিয়মেই চলছে। যেমন গার্ড অব অনার দেওয়া, কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গেলে তার জন্য আচার অনুষ্ঠান আয়োজন করা।’
বদিউল আলম আরও বলেন, ‘দিন বদলের অঙ্গীকার নিয়ে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেছিল। সেই দিন বদলেছে, তবে দিনের পরিবর্তে রাত হয়েছে। দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, পরিবারতন্ত্র এসব ছিল তাদের মূল লক্ষ্য। তাদের জন্যই সংস্কার আজ গালিতে পরিণত হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি তাহমিদ আহমেদ বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলনে বিগত সরকারের সচিব, জেলা প্রশাসকদের ভূমিকা কী ছিল? এই সংস্কার কমিশনগুলো এখন পর্যন্ত কোনো আমলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। এটাই এ গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম ব্যর্থতা। এখান থেকেই সংস্কার শুরু হওয়া উচিত।’