অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, সবার জন্য সাইবার স্পেসকে সুরক্ষিত করতে চেষ্টা করছে সরকার। এরইমধ্যে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেস সচিব এ কথা জানান।
প্রেস সচিব বলেন, জাকির আহম্মেদ খান কমিটি তাদের পদোন্নতি বঞ্চিত, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য সুপারিশমালা দিয়েছিলেন। সেটার আলোকে কেবিনেট সেক্রেটারির নেতৃত্বে একটা রিভিউ কমিটি হয়েছিল। ৭৬৪ জনকে পদোন্নতি দেওয়া যায়, সেই বিষয় সুপারিশ করা হয়েছিল। এরমধ্যে ১১৯ জনকে সচিব পদে, ৪১ জনকে গ্রেড ওয়ানে, অতিরিক্ত সচিব পদে ৫২৮ জন, যুগ্ম সচিব পদে ৭২ জন এবং উপসচিব পদে চারজনকে পদোন্নতির জন্য সুপারিশ করেছে। এটার জন্য প্রাক্কলিত খরচ হিসাবে এককালীন আনুমানিক ৪২ কোটি টাকা বরাদ্দ করার কথা বলা হয়েছে। গণভবনে জুলাই আগস্ট স্মৃতি জাদুঘরের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর ও সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস সচিব বলেন, কাউন্সিলর অ্যাডভাইজরদের মিটিংয়ে পদোন্নতি বঞ্চিত কর্মকর্তাদের বিষয়ে কমিটির সুপারিশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ১১৯ জনকে সচিব, ৪১ জনকে গ্রেড ১সহ বেশ কিছু পদোন্নতির সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এজন্য এককালীন ৪২ কোটি টাকা ও পেনশনকালীন প্রতি বছর ৪ কোটি টাকা খরচ হতে পারে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন, শেখ হাসিনাকে নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। এ ব্যপারে সরকারের অগ্রাধিকার রয়েছে। তিনি চোরতন্ত্র কায়েম করেছিলেন। এক্ষেত্রে শেখ হাসিনার সাথে আরও কারা ছিল তা জানানো সরকারের দায়িত্ব।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে প্রেসসচিব বলেন, এগুলো নিয়ে অনেক প্রতিবেদন হয়েছে। তাতে বলা হচ্ছে খুন, ছিনতাই ও রাহাজানি বেড়েছে। এক্ষেত্রে অনেক সাংবাদিক ভুল বোঝাবুঝির শিকার হচ্ছেন। প্রতিমাসে ২৫০ থেকে তিনশর মতো হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। গত সেপ্টেম্বরে ২৮৩টি মামলা আসে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে বাণিজ্য বাড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, এ বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। খুব দ্রুত কোরিয়ায় বাংলাদেশের নতুন বাজার উন্মুক্ত হওয়ার ব্যাপারে সরকার আশাবাদী। দক্ষিণ কোরিয়ার লোনের ইন্টারেস্ট রেট খুব কম।
শফিকুল আলম আরও বলেন, নিউইয়র্কে প্রধান উপদেষ্টার সাথে চাইনিজ ফরেন অ্যাডভাইজারের বৈঠক হয়েছিল। সেখানে বাংলাদেশে সোলার প্যানেল ম্যানুফ্যাকচারিং ফ্যাসিলিটি নেওয়া যায় কি না সে বিষয়ে আলাপ হয়েছে। সেই আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকগুলো বিনিয়োগকারী বাংলাদেশে আসছেন।