বিপিএলের ১১তম আসরে মাঠে গড়ানোর আগে থেকেই আলোচনায় চিটাগং কিংস। যার মূল কারণ সাকিব আল হাসান। সরাসরি চুক্তিতে দেশসেরা এই ক্রিকেটারকে দলে নিয়েছিলেন সামির কাদের চৌধুরী। তবে দেশে ফিরতে না পারায় সাকিব ছাড়ায় মাঠে নামতে হয়েছে চিটাগংকে।
প্রথম ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের কাছে হেরে আসর শুরু করেছিল মিথুনের দল। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বন্দরনগরীর দলটি। রাজশাহীকে ১০৫ রানে বিধ্বস্ত করে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিয়েছে চিটাগং কিংস।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) আগে ব্যাট করে রাজশাহীকে ২২০ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল চিটাগং কিংস। ১৭ বল হাতে থাকতে ১১৪ রানে অলআউট হয় রাজশাহী। এতে ১০৫ রানের জয় পায় চিটাগং কিংস।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় রাজশাহী। প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার সাব্বির হোসেন (৮)। ৯ বলে ৮ রান করে তাকে সঙ্গ দেন আগে ম্যাচে রাজশাহীকে জয়ের পথে এগিয়ে নেওয়া এনামুল হক। তবে অপর প্রান্ত থেকে ব্যাট চালাতে থাকেন মোহাম্মদ হারিস।
তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি এই পাক তারকা। ১৫ বলে ৩২ রান করে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। এরপর আকবর আলী (১৮), ইয়াসির আলী (১৬), রায়ান বার্ল (১০) এবং তাসকিন ১ রানে আউট হলে দলীয় ১০৪ রানে ৭ উইকেট হারায় রাজশাহী।
এরপর শাফিউল ইসলাম (১), হাসান মুরাদ (৫) এবং সোহাগ গাজী ১১ রানে আউট হলে ১৭ বল হাতে থাকতে ১১৪ রানে অলআউট হয় রাজশাহী। এতে ১০৫ রানের জয় পায় চিটাগং কিংস।
চিটাগং কিংসের হয়ে আলিস আল ইসলাম ও আরাফাত সানি ৩টি করে উইকেট শিকার করেন। এ ছাড়াও শরিফুল ইসলাম এবং ওয়াসিম জুনিয়র দুটি করে উইকেট শিকার করেন।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি চিটাগংয়ের ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার পারভেজ ইমন। তবে গ্রাহাম ক্লার্ককে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট চালাতে থাকেন ওসমান খান। ২১ বলে ফিফটি তুলে নেন এই পাক তারকা।
অপর প্রান্ত থেকে ব্যাট চালাতে থাকেন গ্রাহামও। তবে ফিফটি পাননি তিনি। ২৫ বলে ৪০ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। অন্যদিকে ব্যাট চালিয়ে সেঞ্চুরির দ্বার প্রান্তে পৌঁছে যান ওসমান। ১১টি বাউন্ডারি এবং ৫টি ওভার বাউন্ডারিতে ৪৮ বলে ফিফটি তুলে নেন এই ডান হাতি ব্যাটার।
১৫ বলে ২৮ রান করে তাকে সঙ্গ দেন মিথুন। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি শামীম পাটোয়ারি। তব ওসমানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ১৮তম ওভারে ২০০ রানের কোটা পার করে চিটাগং। এরপর পিচে থাকতে পারেননি ওসমান। ৬২ বলে ১২৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত হায়দার আলির ৮ বলের অপরাজিত ১৯ রানে ভর করে ৫ উইকেট হারিয়ে ২১৯ রানের বড় পুঁজি পেয়েছে চিটাগং কিংস।