শ্রীলঙ্কায় গির্জা ও হোটেলে সিরিজ বোমা হামলা, নিহত দেড় শতাধিক

শ্রীলঙ্কায় খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ইস্টার সানডের প্রার্থনার সময় রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে অনন্ত তিনটি গির্জা ও তিনটি অভিজাত হোটেলে সিরিজ বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

রোববার সকালের এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫৬ জনে। তাদের মধ্যে ৩৫ জন বিদেশি রয়েছে। এছাড়া চার শতাধিক আহত হয়েছেন বলে হাসপাতাল ও পুলিশের বরাতে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

শ্রীলঙ্কা পুলিশের মুখপাত্র রুয়ান গুনাসেকেরা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, স্থানীয় সময় সকাল পৌনে ৯টার দিকে ইস্টার সানডের প্রার্থনার সমাবেশে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

হামলার স্থানগুলোর মধ্যে কোচিচিকাদে, কুতুয়াপিটায়ে এবং বাত্তিকালোয়ার তিনটি চার্চ এবং কলম্বোর সাংরি লা, সিনামোন গ্রান্ড এবং কিংসব্যুরি হোটেল রয়েছে।

খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব ইস্টার সানডের দিনে এই হামলার দায় এখনও কেউ স্বীকার করেনি।

বিবিসির খবরে বলা হয়, কলম্বোর কোচিচিকাদের সেন্ট অ্যান্থনি চার্চে প্রথম বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। দ্বিতীয় হামলাটি ঘটে কুতুয়াপিটায়ে-এর সেন্ট সিবাস্তিয়ান চার্চে দ্বিতীয় হামলা হয়। আর তৃতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে নেগোম্বো শহরের বাত্তিকালোয়া চার্চে। এছাড়া কলম্বোর তিনটি পাঁচ তারকা হোটেলেও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

শ্রীলঙ্কার সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, হতাহতদের মধ্যে বিদেশি পর্যটকেরাও থাকতে পারে। দেশটির নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলেছেন তারা বিস্ফোরণের বিষয়ে তথ্য খতিয়ে দেখছেন। 

স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, কেবল সেইন্ট সেবাস্টিয়ানের গির্জাতেই অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাত্তিকালোয়ায় অন্তত ২৫ জনের লাশ উদ্ধারের খবর দিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।

শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের কাছে সিনামন গ্র্যান্ড হোটেলের রেস্তোরাঁয় বিস্ফোরণে অন্তত একজন নিহত হয়েছেন বলে হোটেলটি এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

নিউজ ফার্স্ট লংকা জানিয়েছে, সোম ও মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার সব সরকারি স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের দেশ শ্রীলঙ্কার মাত্র ছয় শতাংশ মানুষ ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী। দেশটির দুই নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী তামিল ও সিংহলিজ উভয়ের মধ্যেই এই ধর্মাবলম্বীদের দেখতে পাওয়া যায়।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: