থমাস মুলার বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে শেষ ম্যাচটি খেলে ফেলেছেন। বিদায়ী ম্যাচটি অবশ্য সুখকর হয়নি। পিএসজির বিপক্ষে ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে বায়ার্ন ২-০ গোলে হেরেছে।
৩৫ বছর বয়সি মুলার ৫ এপ্রিল বায়ার্ন ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে ঘরের মাঠে শেষ ম্যাচটি খেলেন ১০ মে। ১৭ হফেনহেইম ম্যাচ দিয়ে শেষ হয় তার বায়ার্ন-লিগ ক্যারিয়ার। মুলারের শেষ মৌসুমে দল লিগ ঘরে তুলেছে। ডিএফবি পোকাল, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ক্লাব বিশ্বকাপে বিদায় নিল নকআউট থেকে, এরমধ্যে শেষের দুটিতেই কোয়ার্টার ফাইনাল খেলে। মার্সিডিজ-বেঞ্জ স্টেডিয়ামে পিএসজির বিপক্ষে হারের পর সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নেড়ে বিদায় জানান মুলার। সমর্থকরাও তার জবাব দেন।
বায়ার্ন থেকে বিদায় নেয়া মুলারের গন্তব্য এখন নির্দিষ্ট নয়। ক্যারিয়ারের শেষের বছরগুলোতে অধিকাংশ ফুটবলার যেমনটি করেন, সেই মেজর লিগ সকারে ঠিকানা হতে পারে তার। এমএলএসের বেশ কয়েকটি ক্লাবের সঙ্গে তার নামও জড়াচ্ছে।
দীর্ঘ ২৫ বছর পর বায়ার্ন ছাড়ছেন। মুলারের নিশ্চিতভাবেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ার কথা। কী অনুভূতি এই তারকার? তিনি বলেন, ‘যা ঘটে গেছে তা হজম করতে আপনার কিছুটা সময় লাগবে। ম্যাচটি নিয়ে এখনও আবেগ বইছে। কিন্তু ম্যাচের আগের অনুভূতির সঙ্গে আমার তেমন কোনো পার্থক্য নেই। আমি ভালো করেই জানি যে এটি ক্লাবের হয়ে আমার শেষ ম্যাচ ছিল। এটা (ক্লাব) সম্পর্কে আমার অনুভূতি এখনও বদলায়নি, এমনকি শেষ (ক্যারিয়ার) হয়ে গেলেও।’
মুলারের বেড়ে ওঠা বায়ার্ন মিউনিখেই। ২০০০ সালে মাত্র ১০ বছর বয়সে ক্লাবটিতে যোগ দেন তিনি। এরপর আর কোথাও পা বাড়াননি। তার সিনিয়র দলে অভিষেক হয় ২০০৮-০৯ মৌসুমে। সব মিলিয়ে ৭৫৬ ম্যাচে ২৫০ গোল ও ২৭৬টি অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি।
ট্রফি জয়ের দিক দিয়ে মুলারের ক্লাব ক্যারিয়ার জার্মানদের মধ্যে অন্যতম সমৃদ্ধ। গত ১৭ বছরে বায়ার্নের প্রায় অর্জনের সঙ্গেই তার নাম জড়িয়ে। দলটির হয়ে দুবার ট্রেবলসহ মোট ৩৩টি ট্রফি জিতেছেন তিনি। ২০১২-১৩ মৌসুমের ট্রেবল জয়ের পথে করেছিলেন ২৩ গোল ও ১৭ অ্যাসিস্ট।
ইউটি/এসএন