ঝিলপাড় বস্তির উচ্ছেদ অভিযানে দিশেহারা ২০ হাজার মানুষ

মিরপুর-১২ নম্বরের ঝিলপাড় এলাকা। যেখানে ২ দিন আগেও ছিলো বস্তি, যাতে বসবাস করতেন হাজার হাজার নিম্ন আয়ের পরিবার। কয়েক ঘন্টার উচ্ছেদ অভিযানে এখন পরিবারগুলো যেন পানিতে পড়ে গেছেন। অভিযান চলার সময়, একে একে ভেঙে গেছে তাদের মাথার উপর থাকা ছাদ। তারা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছে না কোথায় যাবেন, কোথায় আশ্রয় নেবেন, মাসের শেষেও কীভাবে সংসার চলবে—এমন হাজারও প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে তাদের মাথায়।

বাড়ির পুরনো আসবাবপত্র, কিছু পোশাক আর প্রিয় ছোট্ট টুকিটাকি জিনিসপত্র একাকার হয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে রাস্তার ওপর। বস্তিতে থাকা বাবারা রাতের শীতের মধ্যে এক দিকে তাদের বেঁচে যাওয়া জিনিসপত্র পাহারা দিচ্ছেন, অন্য দিকে আগলে রাখছেন সন্তানদের।

মূলত ২০০৬ সালে সাংবাদিকদের আবাসনের জন্য বরাদ্দ দেয়া ৭ একর জায়গাতেই আশ্রয় নিয়েছিলেন তারা। সেখানে বসবাস করতেন ২০ হাজারের বেশি মানুষ। ২১ জানুয়ারি সকালে ঝিলপাড় বস্তি উচ্ছেদে আসেন জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের ভ্রাম্যমাণ আদালত ও পুলিশ সদস্যরা। প্রথমে বস্তির দক্ষিণ ভাগে শুরু হয় উচ্ছেদ অভিযান।

এর আগে সাংবাদিকদের আবাসনের জন্য বরাদ্দ দেয়া ৭ একর জায়গা দীর্ঘদিন দখলে রেখেছিলেন স্থানীয় সাবেক এমপি ইলিয়াস মোল্লাহ। গড়ে তোলেন অবৈধ স্থাপনা এবং গরুর খামার। জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ বলছেন, দখলদারদের কোন ছাড় দেয়া হবে না। যতো প্রভাবশালীই হোক, সরকারি জমি দখলকারীর বিরুদ্ধে নেয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।

জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তায়েব-উর-রহমান আশিক বলেন, অনেক আগেই ঢাকা সাংবাদিক বহুমুখী সমবায় সমিতিকে এই জায়গা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিলো। সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এই অভিযান বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

টিএ/

Share this news on: