বন্ধু হাসনাত আব্দুল্লাহর পাশে দাড়িয়েছেন সমন্বয়ক সারজিস আলম। ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ”আশপাশে এমন বহু শত্রু আছে যারা সুযোগ পেলে খুন করে ফেলবে, এটা জানার পরও মবের মধ্যে ঢুকে মারামারি থামানোর কথা বলতে হেডম লাগে। অন্য কেউ এই সাহস করেনি। সাহস করেছে হাসনাত আব্দুল্লাহ।”
২৬ জানুয়ারি রাতে ঢাবি এলাকায় শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ থামাতে সেখানে যান হাসনাত আব্দুল্লাহ। সাহসী ভূমিকা পালন করে সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেকেরই প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। সমন্বয়ক সারজিস আলমও প্রশংসা করে বিস্তারিত এক পোস্ট দিয়েছেন ফেসবুকে।
২৭ জানুয়ারি দুপুরে করা এই পোস্টের শুরুতে হাসনাতের প্রশংসা করে সারজিস লেখেন, সাহসটা করার জন্যে হাসনাতকে মাথায় তুলে ফেলতে হবে সেটা বলছি না, তবে ন্যূনতম এপ্রিশিয়েটটা অন্তত করতে শিখেন। হয়তো ফলাফল প্রত্যাশিত হয়নি কিন্তু এর চেয়েও খারাপ কিছু হতে পারতো ৷ সবচেয়ে বড় কথা উদ্দেশ্য সৎ ছিল৷’
হাসনাতের সমস্যা হলো মাথা গরম” উল্লেখ করে সারজিস লেখেন, ‘এই ছেলেটার সমস্যা হলো এর মাথা গরম আর সবসময় গ্রেটার পার্সপেক্টিভ চিন্তা করে। কিন্তু সত্যি এটাই যে, মাথা গরম বলেই সেই জুলাইয়ে ভিসি চত্ত্বরে গায়েবানা জানাজা শেষে যখন সবাই পুলিশের টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড আর ছোররা বুলেটে দিকবিদিক ছুটে যাচ্ছিল তখন এই ছেলেটা সর্বপ্রথম স্রোতের বিপরীতে গিয়ে ওই পুলিশের দিকে দুই হাত প্রশস্ত করে এগিয়ে যায় আর বলে "we are open to killed"!’
‘ঠিক যেমনিভাবে গতকাল গিয়েছিল৷ এই ছেলেটাই সেই জুলাইয়ে হাসিনার বিরুদ্ধে রাজাকার রাজাকার মিছিলের সামনের সারিতে মাঝখানে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল, যখন অনেকেই নিজেকে সেফ জোনে রেখেছিল। এই ছেলেটাই সর্বপ্রথম এবং একা সচিবালয়ে আনসার লীগের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামে এবং পরবর্তী সময়ে ঐক্যবদ্ধ চেষ্টায় সচিবালয় অনেকটা সুরক্ষিত হয়ে ওঠে।’
পোস্টটিতে আরো বিস্তারিতভাবে হাসনাত আব্দুল্লাহর বিষয়ে লেখেন সারজিস। শুধু সারজিসই নয়। ছাত্র আন্দোলনে জড়িত অনেকেরই প্রশংসায় ভাসছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।
টিএ/