গত ৬ মাসে ১৩৬টি আন্দোলনের মুখে অন্তর্বর্তী সরকার

গত ৬ মাসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ১৩৬টি আন্দোলন মোকাবিলা করেছে। এ তথ্যটি বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফেসবুক পেজ থেকে প্রকাশিত হয়েছে।

পোস্টে এক পেজের পোস্টার সহ এই পরিসংখ্যানটি তুলে ধরা হয়, যেখানে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাহসী ভূমিকার প্রতীকী ছবিও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পোস্টারে উল্লেখ করা হয় যে, "অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গত ৬ মাসে ১৩৬টি আন্দোলন মোকাবিলা করেছে।"

পোস্টটি আরো দাবি করে যে, স্বাধীনতার ৫৪ বছরের ইতিহাসে ৬ মাসের মধ্যে এত বিপুল সংখ্যক আন্দোলনের মুখোমুখি হওয়া কোনও সরকারের পক্ষেও সম্ভব হয়নি। এর পাশাপাশি, পোস্টের ক্যাপশনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একটি প্রশ্ন তোলেন, "যৌক্তিক বা অযৌক্তিক, সব ধরনের দাবি নিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন পক্ষ আন্দোলন করছে। সরকার আন্দোলন মোকাবিলা করেই টিকে আছে, কিন্তু ১৫ বছরের সব দাবি একসঙ্গে নিয়ে যেভাবে সবাই মাঠে নামছে, তাহলে সরকার কাজ করবে কখন?"

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনের কারণে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এর পরদিন, ৮ আগস্ট, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বিভিন্ন দাবিতে একের পর এক আন্দোলন মোকাবিলা করতে হয়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের।

এমন পরিস্থিতি, যেখানে প্রতিদিন নতুন আন্দোলন এবং দাবি উঠছে, সরকারকে চাপের মধ্যে রাখছে এবং দেশব্যাপী রাজনৈতিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এমন পরিস্থিতিতে সরকার এবং জনগণের মধ্যে সঠিক সমঝোতা এবং কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরছে।

এদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কেউ কেউ মানুষকে বেকায়দায় ফেলে দাবি আদায়ের চেষ্টা করছে। এটি কাম্য নয়। এমন কৌশল আগেও দেখা গেছে। দাবি-দাওয়ার মধ্য দিয়ে কেউ হীন স্বার্থ হাসিল করছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা উচিত।

যৌক্তিক কিংবা অযৌক্তিক– যেটাই হোক, দাবি হাসিলের ‘মোক্ষম জায়গা’ হয়ে উঠেছে রাজপথ। হুটহাট সড়ক-মহাসড়কে নেমে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে যান চলাচল। চিকিৎসা ও রেলের মতো জরুরি সেবা বন্ধ করে দাবি আদায়ের মতো ঘটনাও ঘটেছে অহরহ।

এদিকে ২৬ আগস্ট পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সচিবালয় ও প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার আশপাশের এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। সেই গণবিজ্ঞপ্তিরও ধার ধারেননি আন্দোলনকারীরা। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে হুঁশিয়ারির পরও সচিবালয় ঘিরে বিক্ষোভকারীর অবস্থান দেখা গেছে।

টিএ/

Share this news on:

সর্বশেষ