ধানমন্ডি ৩২ এর ঝড় পৌঁছে গেছে হোয়াইট হাউসে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল ভবন নয় এ হোয়াইট হাউসের অবস্থান বরিশালে। বিলাসবহুল বাড়িটির মালিক বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে সে হোয়াইট হাউস।
রাত ২টার দিকে কয়েকশো ছাত্র-জনতা বরিশালের জীবনানন্দ দাশ সড়কে অবস্থিত ওই বাড়িটির সামনে অবস্থান নেন। প্রথমে তারা ভবনের বাইরে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। পরে প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর চালান। এরপর বুলডোজার দিয়ে পুরো ভবনটি গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।
এর আগে রাত ১২টার দিকে নগরীর কালীবাড়ি রোডে সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর বাসভবনেও একইভাবে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। সেখান থেকে বের হয়ে বিক্ষুব্ধরা আমির হোসেন আমুর বাসভবনের সামনে এসে জড়ো হন এবং ভবনটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন।
বিক্ষোভে অংশ নেয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের যতগুলো আস্তানা আছে, আমরা তা গুঁড়িয়ে দিতে চাই। জনগণের টাকা দিয়ে ফ্যাসিস্ট শাসকের দোসররা এসব প্রাসাদ গড়ে তুলেছে। এখন সেগুলো ধ্বংসের সময় এসেছে।’
স্থানীয় এক বাসিন্দার ভাষ্য, ‘ভারতে পালিয়ে গিয়েও ফ্যাসিস্ট হাসিনা আমাদের হুমকি দিচ্ছেন। আমরা জানাতে চাই, আর কোনোদিন আওয়ামী লীগের স্থান বাংলায় হবে না।’
জুলাই গণঅভ্যত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টও আওয়ামীলীগ নেতাদের এই বিলাসবহুল বাড়িগুলোতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল। তবে এবার বিক্ষোভকারীরা সরাসরি ভবনগুলো বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিলেন।
উল্লেখ্য, আমির হোসেন আমুর স্থায়ী বাড়ি ঝালকাঠি পৌর শহরে হলেও তিনি বরিশালের এই হোয়াইট হাউসেই থাকতেন এবং এখান থেকেই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন। ২০২৪ সালের নভেম্বরে আমির হোসেন আমুকে রাজধানীর ধানমণ্ডি থেকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলাসহ মোট ১৫টি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
টিএ/