তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় ১৮৯৮ সালের ২৪ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার লাভপুর গ্রামের এক জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন বাংলা ভাষার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাসাহিত্যিক, ঔপন্যাসিক ও গল্পকার।
এই মহান লেখক তার সব লেখায় মানুষের মহত্ত্ব সাবলীলভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। তিনি সাধারণ মানুষের জীবনচিত্র তার গল্পে দক্ষতার সঙ্গে অঙ্কিত করেছেন।
তার সামগ্রিক সাহিত্যকর্মের মধ্যে রয়েছে ৬৫টি উপন্যাস, ৫৩টি গল্পগ্রন্থ, ১২টি নাটক, ৪টি প্রবন্ধের বই, ৪টি আত্মজীবনী এবং ২টি ভ্রমণ কাহিনী। সেগুলির মধ্যে চৈতালী ঘূর্ণি, জলসাঘর, ধাত্রীদেবতা, কালিন্দী, পঞ্চগ্রাম, কবি, হাঁসুলি বাঁকের উপকথা, আরোগ্য নিকেতন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
এই বিশিষ্ট সাহিত্যিক রবীন্দ্র পুরস্কার, সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার, জ্ঞানপীঠ পুরস্কার এবং পদ্মভূষণ পুরস্কারে পুরস্কৃত হন।
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৭১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।
তার একটি উক্তি-
“বিচার নিষ্ঠুর নয়, সে সাংসারিক
সুখ-দুঃখের গণ্ডির উর্ধ্বে।”