সুস্থ ও স্বাভাবীক জীবনযাপনের প্রথম শর্ত নিজেকে রোগমুক্ত রাখা। শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলেই আপনি সুন্দর জীবনযাপন করতে পারবেন। এ কারণে নিজেকে রোগমুক্ত রাখা প্রয়োজনীয়।
এদিকে শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ার কারণে ছোট ছোট কিছু সমস্যা হয়ে থাকে। এটি বেড়ে যাওয়ার ফলে মানবদেহ অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড গ্রহণ করতে পারে না। যা স্বস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। পিউরিনের পরিমাণ যদি শরীরে বেশি হয় তাহলে অ্যাসিডের মাত্রাও বেড়ে যায়। এ সময় অস্থিসন্ধিতে ইউরিক অ্যাসিডের স্ফটিক বা ক্রিস্টাল জমা হলে শরীরে হাঁটু, হাত-পায়ের আঙুল ও অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ব্যথা হওয়ার মতো সমস্যা হয়ে থাকে।
ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে আনা বা কমানোর জন্য চিকিৎসার পাশাপাশি ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে। সাধারণ খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপন পদ্ধতি মেনে চললেই ইউরিক অ্যাসিড কমানো সম্ভব।
চেরিতে অ্যান্থোসায়ানিন নামক প্রাকৃতিক প্রদাহরোধী উপাদান রয়েছে। যা নিয়মিত খাওয়ার ফলে ইউরিক অ্যাসিডেমের মাত্রা হ্রাস পায়। এই ফল শরীরের জয়েন্টে স্ফটিক জমা হওয়া থেকে দূরে রাখে।
ইউরিক অ্যাসিডের কারণে যদি বাতজনিত ব্যথা হয় তাহলে প্রতিদিন একটি করে কলা খেতে পারেন। নিয়মিত কলা খাওয়ার ফলে রক্তে ইউরিক অ্যাসিড কম হতে পারে। এতে বাতব্যথার আক্রমণের ঝুঁকি কমে।
অ্যাভোকাডোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই রয়েছে। নিয়মিত খাওয়ার ফলে বাতব্যথা প্রতিরোধে উপকার পাওয়া যায়।
স্ট্রবেরি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ৷ যা শরীর থেকে ইউরিক অ্যাসিড দূর করতে সাহায্য করে । স্ট্রবেরিতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রদাহ এবং জয়েন্টের ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে ।
লাল ক্যাপসিকামে রয়েছে ভিটামিন সি, এ, বি6, ফলিক অ্যাসিড এবং ফাইবারের একটি চমৎকার উৎস । এগুলিতে লাইকোপিনও রয়েছে যা একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট । ফলে এটি ইউরিক অ্যাসিডের জন্য উপকারী ৷
গোজি বেরি হল এক ধরনের ফল, যাতে প্রচুর পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়, তাই একে সুপারফুড বললে ভুল হবে না । ফলে এটি ইউরিক অ্যাসিডের জন্য ভীষণভাবে উপকারী৷
রাস্পবেরি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ৷ যা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে । রাস্পবেরিতে উপস্থিত ফ্ল্যাভোনয়েড প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে।
ঘরে বসে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা পরীক্ষা করার কোনো উপায় নেই। তবে শরীরে কিছু লক্ষণ দেখা দিলে বুঝে নিতে হবে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেছে। যেমন অস্থিসন্ধিগুলোতে ব্যথা হওয়া, ফুলে যাওয়া, লাল হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। বিশেষ করে পায়ের বুড়ো আঙুল ব্যথা, ফোলা, লাল হয়ে যাওয়া—এসব গেঁটেবাতের লক্ষণ। ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে গেঁটেবাত দেখা দেয়। বিশেষত সাতসকালে যদি অস্থিসন্ধিগুলোতে অস্বস্তিবোধ হয়, অবশ লাগে, তাহলে এ সবই ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ হিসেবে ধরে নেওয়া চলে। তবে লক্ষণ দেখলে নিজে থেকে কোনো ওষুধ খেতে যাবেন না, অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
টিএ/