মরিশাসের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রপতি ধরমবীর গোখুলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার জকি আহাদ।
স্থানীয় সময় বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) স্টেট হাউসে মরিশাসের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন হাইকমিশনার।
সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশ ও মরিশাসের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে গভীর সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং সম্পর্কের উন্নয়ন এবং দুই দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, পর্যটন, শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং জনগণের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগ সম্পর্কিত বিষয়গুলির মধ্যে বিনিময় ও সহযোগিতা গভীরতর করার বিষয়ে মতবিনিময় করেন তারা।
হাইকমিশনার আহাদ বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং ৩৬ জুলাইয়ের বিপ্লব সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে বিস্তারিতভাবে অবহিত করেন। উভয়ে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করেন।
হাইকমিশনার দুই দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময়ের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি মরিশাসের রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির উষ্ণ শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন। তিনি পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের জন্য মরিশাসের রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশের আমন্ত্রণ জানান।
রাষ্ট্রপতি আন্তরিকতার সঙ্গে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে ১৯৭৫ সালে দিল্লিতে তার ছাত্রজীবন থেকে স্মরণ করেন এবং তার সম্পর্কে খুব উচ্চ ধারণা পোষণ করেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, ইউনূসের সৃজনশীল কর্মকাণ্ড তখন থেকেই তার কাছে খুবই পরিচিত।
তারা উভয়ে মরিশাস এবং বাংলাদেশের মধ্যে শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্কের উপর গুরুত্বারোপ করেন। সেই সাথে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করতে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতাকে এক অন্যান্য নতুন মাত্রায় উন্নীত করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টার আশ্বাস দেন। তিনি সরকারি পর্যায়ের সম্পর্কের পাশাপাশি জনগণের মধ্যে সম্পর্কের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। এছাড়া, তিনি দুই দেশের মধ্যে জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
এ সময় মরিশাসের স্টেট হাউস এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) ও দূতালয় প্রধান মো. জাহাঙ্গীর আলম ও প্রথম সচিব (শ্রম) মো. আসাদুজ্জামানসহ উপস্থিত ছিলেন।