আসন্ন রমজান মাস ঘিরে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। বিশেষ করে রমজানে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ছোলা, খেজুর, চিনি, মটর ডাল, সয়াবিন তেল ও ফলসহ পণ্য আমদানি হয়েছে গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। অথচ নগরের দোকান ঘুরে সহজে পাওয়া যাচ্ছে না সয়াবিন তেল।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বহদ্দারহাট ও খাতুনগঞ্জ বাজারের বেশিরভাগ দোকানে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দেখা নেই। কোম্পানিগুলো তেল সরবরাহ করছে না বলে জানিয়েছেন দোকানিরা।
নগরের বহদ্দারহাট এলাকার বাসিন্দা বলেন, সব মুদি দোকানেই বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হয়, এখন এসব দোকানে খুঁজে পেতে কষ্ট হচ্ছে। কোনও দোকানে পাওয়া গেলে নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দিতে হয়। এ সুযোগে খোলা তেলের দাম বেড়ে গেছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য অনুযায়ী, গত নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত তিন মাসে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে অপরিশোধিত সয়াবিন তেল খালাস হয়েছে দুই লাখ ৩২ হাজার টন, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬৯ শতাংশ বেশি। সয়াবিন বীজের আমদানিও বেড়েছে। গত জানুয়ারিতে সয়াবিন বীজ আমদানি হয়েছে তিন লাখ টন, যা গত এক বছরে এত বেশি সয়াবিন বীজ আমদানির রেকর্ড নেই।
খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা বলছেন, রমজান ঘিরে যেসব নিত্যপণ্য আমদানি হয়েছে, তাতে কারসাজি না হলে কোনও পণ্যের সংকট হবে না। এমনকি দাম বাড়ার পরিবর্তে আরও কমে আসবে। কিন্তু ভোজ্যতেল সরবরাহকারী শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো তেল আমদানি করে মজুত করে রেখেছে। বাজারে ছাড়ছে না। এজন্য সংকট। তারা রমজানের আগে তেলের দাম বাড়ানোর জন্য সিন্ডিকেট করে বসে আছে।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে গত বছরের জানুয়ারির চেয়ে প্রায় চার গুণ বেশি সয়াবিন তেল আমদানি হয়েছে বলে জানালেন চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপপরিচালক ড. মোহাম্মদ শাহআলম।