প্রতি বছরের মতো এবছরও রমজান মাস আসার আগেই বাজারে বইছে অস্থিরতার হাওয়া। ভোজ্যতেলের বাজারে এই অবস্থা শুরু হয়েছে ইতোমধ্যেই। আবার ভরা মৌসুমেও আলু ও পেঁয়াজের দাম কিছুটা বাড়তে শুরু করেছে। স্থির নেই ডিম, মাছ ও মাংসের বাজারও। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের আগে অন্তত এসব পণ্যের দাম আর কমার কোনও সম্ভাবনা দেখছেন না তারা।
একদিকে সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে— নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে, সরবরাহে সংকট নেই। এমনকি কোনও পণ্যেরই দাম বাড়বে না বলেও আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সাধারণত প্রতিবছর রমজান মাসকে সামনে রেখে চাল, গম, ভোজ্যতেল, চিনি, ডাল, ছোলা, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, হলুদ, শুকনো মরিচ, ডিম, খেজুরসহ নিত্যপণ্যের সরবরাহ ও মূল্য তদারকিতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকে।
রমজান মাসে ভোগ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাল, গম, ডাল, পেঁয়াজ, ভোজ্যতেল, চিনি, ডিম, ছোলা, মটর, মসলা, খেজুরসহ ১১টি পণ্যে শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণপত্র খোলায় মার্জিন কমানোর নির্দেশনা দিয়েছে।
এদিকে সংশ্লিষ্টরা বলছেন বাজারের অসাধু সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে এবারের রোজাতেও অস্থির হয়ে উঠবে নিত্যপণ্যের বাজার। পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে বাড়তে শুরু করেছে চাল, আটা, ময়দা, ডাল, ছোলা, ব্রয়লার মুরগি, চিনি ও চিড়াসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম।
এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, ১৭টি ভোগ্যপণ্যকে নিত্যপ্রয়োজনীয় মনে করা হলেও রমজানকে সামনে রেখে আপাতত ভোজ্যতেল, চিনি, ডাল, পেঁয়াজ, ছোলা ও খেজুরের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে কাজ শুরু হয়েছে।
ইতোমধ্যেই টিসিবি এসব পণ্য নিয়ে ভ্রাম্যমাণ বাজার শুরু করেছে। টিসিবি জানিয়েছে, নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে সরকারের ১০টি সংস্থা মাঠে থাকবে। সড়ক ও বাজারে চাঁদাবাজি রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাও যুক্ত থাকবে।
বাজারে থাকবে র্যাব পুলিশের নিয়মিত টহলদারি। বাজার মনিটরিংয়ে কার্যক্রমে যুক্ত থাকবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত নিরাপদ খাদ্য অধিদফতর, কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি বিপণন অধিদফতর এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত বিএসটিআইয়ের একাধিক টিম।