ডিমের খোসা চূর্ণ করে তা গাছের সার হিসেবে ব্যবহার করেন অনেকেই। ডিমের খোসা দিয়ে কিন্তু হেয়ার মাস্কও তৈরি করা যায়। ডিমের খোসা ক্যালশিয়ামে ভরপুর। চুলের গোড়া মজবুত করতে ক্যালশিয়ামই সবচেয়ে আগে দরকার হয়। চুলের গোড়ায় মেলানিন রঞ্জকের উৎপাদন বাড়াতে পারে ক্যালশিয়াম। একই সঙ্গে কেরাটিন প্রোটিন তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। তাই চুল ভাল রাখতে ডায়েটে ক্যালশিয়াম-সমৃদ্ধ খাবার রাখারই পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা। ক্যালশিয়ামের ঘাটতি হলেই চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে, অল্প বয়সেই চুলে পাক ধরে।
ক্যালশিয়ামের পাশাপাশি, ডিমের খোসায় প্রচুর পরিমাণে থাকে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস, যা মাথার ত্বকে পিএইচের ভারসাম্য বজায় রাখে। পিএইচের হেরফের হলেই মাথার ত্বকে চুলকানি, র্যাশ, খুশকির সমস্যা বাড়ে।
ডিমের খোসার মাস্ক কী ভাবে বানাবেন?
ডিমের খোসাগুলিকে আগে ভাল করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। জল দিয়ে ধুয়ে রোদে রেখে শুকিয়ে নিন। খোসা ভাল করে না ধুলে, তার মধ্যে ব্যাক্টেরিয়া জন্মাতে পারে। তাই ধুয়ে রোদে রেখে শুকিয়ে নেওয়া জরুরি। এ বার খোসাগুলিকে ভেঙে মিক্সারে চূর্ণ করে নিন। এই চূর্ণ কাচের শিশিতে ভরে রেখে দিতে পারেন।
মাস্ক বানানোর জন্য কী করবেন-
১) শ্যাম্পুর মাস্ক
রোজের যে শ্যাম্পু ব্যবহার করেন, তার সঙ্গে ডিমের খোসা চূর্ণ করে মিশিয়ে দিন। সপ্তাহে তিন দিন এই শ্যাম্পু করলে চুলের গোড়ায় জমে থাকা ধুলোময়লা ও মৃত কোষ দূর হবে। রুক্ষ চুল নরম ও মসৃণ হবে।
২) ডিমের খোসা চূর্ণ ও নারকেল তেল
এক চামচের মতো ডিমের খোসা চূর্ণের সঙ্গে ২ চা চামচের মতো নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ ভাল করে চুলে ও মাথার ত্বকে মালিশ করে ৩৫-৪০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তার পর হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। সপ্তাহে এক দিন এই প্যাক ব্যবহার করলে চুল লম্বা হবে। চুলের জেল্লাও ফিরবে।
৩) ডিমের খোসার সঙ্গে অ্যালো ভেরা জেল
অ্যালো ভেরা চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখবে আর ডিমের খোসা প্রোটিন তৈরি করবে। এই দুইয়ের মিশ্রণ চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে খুবই উপযোগী হবে। এক চামচ ডিমের খোসা চূর্ণের সঙ্গে ২ চামচ অ্যালো ভেরা মিশিয়ে নিয়ে চুলে মেখে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তার পর উষ্ণ জলে চুল ধুয়ে নিন। সপ্তাহে অন্তত দু’দিনও ব্যবহার করলে চুল নরম হবে।