নাহিদ ইসলামের ছেড়ে দেয়া তথ্য উপদেষ্টার পদটিতে বসতে চলেছেন কে? নাহিদ ইসলাম একইসাথে দায়িত্বে ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের। তার পদত্যাগের পর দুটি মন্ত্রণালয়ের শূন্য পদের দায়িত্বে কে আসছেন এমন আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে জানা গেছে নতুন কাউকে দায়িত্ব না দেওয়া পর্যন্ত আপাতত দেখভাল করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সরকারের দায়িত্বশীল একটি সূত্র বলছে, নাহিদের স্থলে তিনজনের নাম শোনা যাচ্ছে। তারা হলেন-উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মনির হায়দার। তবে এই তিনজনের মধ্যে মাহফুজ আলমের নামই বেশি শুনা যাচ্ছে।
তথ্য উপদেষ্টা হিসেবে প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলমকে বেশি পছন্দ ছিল প্রধান উপদেষ্টার। সে হিসেবে তাকে অফারও করা হয়। তিনি উপদেষ্টা হলে সরকারের মুখপাত্র হিসেবে মিডিয়ার সামনে বক্তব্য দেওয়ার দ্বিতীয় ব্যক্তি না থাকায় সেটি আর সামনে এগোয়নি। পরে তাকে সিনিয়র পদমর্যাদা দেওয়া হয়। আর সম্প্রতি সিনিয়র সচিবের পদ মর্যাদা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হয়েছেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মনির হায়দার। তাকে মূলত প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে গঠিত ঐকমত্য গঠন কমিশনের কাজেও লাগাতে চান ড. ইউনূস। আর সে হিসেবেই মাহফুজ আলম তথ্য উপদেষ্টা হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন।
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর সূত্রে জানা যায় , তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী বা উপদেষ্টার মূল কাজ সরকারের ভাবনা জনগণের কাছে পৌঁছানো। সেই কাজের বেশিরভাগই করে দিচ্ছেন প্রেস সেক্রেটারি। সপ্তাহে দুই বা তিনদিন কখনও তার বেশি সময় নিয়মিত ব্রিফিং করছেন শফিকুল আলম। সেসব ব্রিফিং সরকারের নেওয়ার বিভিন্ন উদ্যোগ, সমস্যা, আইন শৃঙ্খলা ও অর্থনীতি পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরছেন। সে হিসেবে তথ্য উপদেষ্টার কাজটি প্রেস সেক্রেটারিই করে দিচ্ছেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তথ্যমতে, নাহিদ ইসলামের পদত্যাগের পর এখন দুই মন্ত্রণালয় শূন্য হয়েছে। ফলে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রধান উপদেষ্টার কাছে ন্যস্ত হয়েছে। তিনিই উপদেষ্টাদের দপ্তর বণ্টন করবেন।
এদিকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপদেষ্টা পরিষদে আজ দপ্তর পুনর্বণ্টনের সম্ভাবনা কম। তবে শিগগিরই তা হতে পারে। সরকারি একটি সূত্র জানিয়েছে, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা পদে সরকারের আরেক উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম আসতে পারেন বলে আলোচনা হচ্ছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও জানা যায়নি।