দীর্ঘ সময় রোজা রেখে ইফতার করার সময় অনেকেই ক্ষুধার কারণে ভুলভাবে খাবার খান, বিশেষ করে ভাজাপোড়া ও ভারি খাবার। তবে ইফতারে কী খাচ্ছেন এবং কতটুকু খাচ্ছেন, তা সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
গরমের এই সময়ে, দীর্ঘক্ষণ রোজা রাখার পর পেট ঠান্ডা রাখতে কিছু খাবার ইফতারে রাখা উচিত, যাতে অসুস্থতা এড়ানো যায় এবং শরীর ভালো থাকে।
মনে রাখবেন ভাজাপোড়া খেতে মুখোরোচক হলেও এসব খাবার কিন্তু আপনার পেটে অস্বস্তি ও জ্বালাপোড়ার সৃষ্টি করতে পারে। এমনকি এর থেকে কোনো পুষ্টিও মেলে না। তাই এসব খাবার এড়িয়ে বরং ইফতারে রাখুন পেট ঠান্ডা রাখে এমন কিছু খাবার।
ইফতারের পুষ্টিকর খাবারের বিষয়ে ল্যাবএইড কার্ডিয়াক হাসপাতালের সিনিয়র নিউট্রিশনিস্ট ফাহমিদা হাশেম তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এক পোস্টে পরামর্শ দিয়েছেন, রমজানের এ সময় ইফতারে চিড়া, কলা, টকদই, ঝোলা গুড় বা মধু রাখার। চিড়া, কলা, গুড়, মধু আয়রনের চমৎকার উৎস।
শুধু ইফতারেই নয় বরং কখনো সেহরি বা রাতের খাবারেও এটি রাখতে পারেন। যাদের শরীরে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কম তাদের জন্যও খুব ভালো এই খাবারগুলো। যাদের ডায়াবেটিস আছে তারাও রোজায় এই খাবার খেতে পারে। রোজা ব্যতীত অন্যান্য সময়ে কোনো এক বেলার খাবারের পরিবর্তে এই খাবার খেতে পারেন। তবে অবশ্যই পরিমাণের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
এক্ষেত্রে আধা কাপ চিড়া, চাপা কলা ১টি, টক দই পরিমাণমতো, আধা চা চামচ গুড় বা মধু একসঙ্গে মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে স্বাদে ভরপুর ও পুষ্টিকর এক খাবার। যাদের খালি পেটে টকদই খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা হয় তারা সামান্য মিষ্টি দই দিয়ে খেতে পারেন।
এই পুষ্টিবিদ জানান, এই খাবার যে কোনো কমার্শিয়াল আয়রন ফর্টিফায়েড খাবারের তুলনায় অনেক বেশি আয়রন দিতে পারে শরীরে। এমনকি পেট শান্ত ও ঠান্ডা রাখে এই খাবার।