যে ধরনের মাথা ব্যথা বিপজ্জনক

মানসিক চাপ বা দীর্ঘক্ষণ রোদে থাকার ফলে মাথাব্যথা হওয়া স্বাভাবিক। তবে যদি এর সঙ্গে বমি, ভুলে যাওয়া বা হঠাৎ ব্ল্যাকআউটের মতো উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে সতর্ক হওয়া জরুরি। মাথাব্যথা বেশ কষ্টদায়ক হতে পারে এবং কিছু ক্ষেত্রে এটি দীর্ঘস্থায়ীও হতে পারে। গুরুতর মাথাব্যথার ক্ষেত্রে এসব লক্ষণের পাশাপাশি আরও কিছু অতিরিক্ত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন হতে পারে।

মাথা ব্যথা একটি পরিচিত স্বাস্থ্য সমস্যা হওয়ার কারণে অনেক সময় আমরা এটিকে গুরুত্ব দেই না। কিছু মাথা ব্যথা জটিল রোগের উপসর্গ। গুরুত্ব না দিলে এটি মারাত্মক বিপদের কারণ হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাথা ব্যথা মৃদু বা গুরুতর কোনোটাই উপেক্ষা করা উচিত নয়। কারণ এটি শুধু একটি উপসর্গ নয়, জটিল রোগ আমন্ত্রণের দরজাও।

চিকিৎসকরা জানান, ০ থেকে ১০ এর স্কেলে ৭ একটি গুরুতর মাথা ব্যথার প্রতিনিধিত্ব করে। দৈনন্দিন কাজকর্মে হস্তক্ষেপ করতে পারে এমন অবস্থাকে গুরুতর মাথা ব্যথা হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন চিকিৎসকরা।
ব্যক্তি বিশেষে মাথা ব্যথার ধরনে পরিবর্তন রয়েছে। মৃদু মাথা ব্যথা ঘরোয়া উপায়ে সারানো সম্ভব হলেও গুরুতর মাথা ব্যথার ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়।

গুরুতর মাথা ব্যথার সতর্কতা লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে হঠাৎ মাথা ব্যথা শুরু হওয়া, ৫০ বছর বয়সের পরে মাথা ব্যথা শুরু হওয়া, মাথা ব্যথার ঘনত্ব বা তীব্রতা বৃদ্ধি, ধরন বা প্যাটার্নে হঠাৎ পরিবর্তন ইত্যাদি।
গবেষকরা বলেন, এইচআইভির সঙ্গে মাথা ব্যথার যোগসূত্র রয়েছে। এ ছাড়া ক্যানসার, ভ্রমণগত কারণে মাথা ব্যথা, হাঁচি-কাশি বা ব্যায়ামের কারণে মাথা ব্যথা, মাথায় আঘাত বা পড়ে যাওয়ার পরে মাথা ব্যথা, গর্ভাবস্থায় বা প্রসবের পরে গুরুতর মাথা ব্যথা হতে পারে। দৃষ্টি ব্যাঘাত, দুর্বলতা, অসাড়তা, চেতনা হ্রাসের মতো স্নায়বিক লক্ষণগুলোর সঙ্গেও মাথা ব্যথা হওয়া সম্পর্কিত।

মাথা ব্যথার সঙ্গে তাই যেসব উপসর্গ দেখা দিলে বিশেষ গুরুত্ব দেবেন তা হলো ডাবল ভিশন বা কোনো বস্তু দুবার দেখা, বমি হওয়া, চোখ দিয়ে পানি পড়া, জ্বর বা অতিরিক্ত ঘাম হওয়া, কথায় জড়তা আসা, ক্লান্তিবোধ হওয়া, ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ার পরও ব্যথা না কমা, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আবার মাথা ব্যথা শুরু হওয়া ইত্যাদি।

এসব প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে দিয়ে গেলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে এর সঠিক কারণ খুঁজে বের করুন। প্রয়োজনে করে নিতে পারেন এমআরআই অথবা এমআরই টেস্ট। কেননা এসব উপসর্গ মাইগ্রেন, ব্রেন টিউমার, এইডস, ক্যানসার বা অন্যান্য অনেক গুরুতর সমস্যার পূর্বাভাস হতে পারে।


এস এস / এস এন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিনে ট্রাম্পের ফোন Sep 17, 2025
দেশের রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়ালো ৩০.৮৯ বিলিয়ন ডলার Sep 17, 2025
ক্রাশের নাম প্রকাশেই ভাইরাল রুকমিনি, জানেন কে সেই লাকি স্টার? Sep 17, 2025
“ভয় পাই না, জবাব দিতে জানি” ট্রলকারীদের হুঁশিয়ার করলেন পরেশ রাওয়াল Sep 17, 2025
পাকিস্তান ছাড়িয়ে বাংলাদেশেও জনপ্রিয় - কে এই হানিয়া আমির? Sep 17, 2025
মাত্র ৩১ এ অবসর! ফুটবল ছাড়লেন ফ্রান্সের বিশ্বকাপ নায়ক উমতিতি Sep 17, 2025
img

ইইউ কমিশনার

নিরাপদ দেশের সব আশ্রয়প্রার্থীর নিরাপত্তার নিশ্চয়তা নেই Sep 17, 2025
img
বাংলাদেশ নয় শ্রীলঙ্কা নিজেদের জন্যই খেলবে: আরনল্ড Sep 17, 2025
img
সৌদি আরবে ইরানের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা কর্মকর্তা আলী লারিজানি Sep 17, 2025
img
জয় দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শুরু আর্সেনালের Sep 17, 2025
img
দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে প্রথম চালানে ভারতে গেল ৩৭.৪৬ টন পদ্মার ইলিশ Sep 17, 2025
img
ট্রাম্পের কাছ থেকে রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে পরিষ্কার অবস্থান জানতে চান জেলেনস্কি Sep 17, 2025
img

এশিয়া কাপ

সুপার ফোরে যেতে শ্রীলঙ্কার দিকে তাকিয়ে থাকবে বাংলাদেশ Sep 17, 2025
img
রোজার আগে নির্বাচন দিয়ে পুরোনো কাজে ফিরে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা Sep 17, 2025
img
প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বের প্রশংসা করলেন আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা Sep 17, 2025
img
নাসুম ও রিশাদরা দারুণ বোলিং করেছে, ওপেনিং জুটি দরকার ছিল: লিটন দাস Sep 17, 2025
img
রংপুরে পদ্মরাগ ট্রেনের পাঁচ বগি লাইনচ্যুত, ১১ ঘণ্টা পর উদ্ধার Sep 17, 2025
img
আওয়ামী লীগ ছাড়াও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন সম্ভব, প্রমাণ ডাকসু : আসাদুজ্জামান ফুয়াদ Sep 17, 2025
img

এশিয়া কাপ

আফগানিস্তানকে ৮ রানে হারিয়ে সুপার ফোরের আশা বাঁচিয়ে রাখলো টাইগাররা Sep 17, 2025
img
গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগ নেত্রী সুইটি গ্রেপ্তার Sep 17, 2025