'ছাগলকাণ্ডে’ আলোচিত সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরান হোসেন অবৈধ উপায়ে অন্তত ১৩৩ কোটি টাকা অর্জন করেছেন, যার মধ্যে ৮৬ লাখ টাকা পাচার হয়ে যাওয়ার তথ্য দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বিকেলে তার বিষয়ে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান অরগানাইজড ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি একরামুল হাবীব।
তিনি বলেন, চোরাচালান, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে অনুমোদনহীন ব্রাহমা জাতের গুরু আমদানি করে বিদেশে প্রায় ৮৬ লাখ টাকা অর্থ পাচার করেছেন ইমরান। তিনি প্রতারণার মাধ্যমে দেশিয় গরু ছাগলকে বিদেশি ও বংশীয় বলে প্রচার করে বিক্রি করতেন।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে মানি লন্ডারিংয়ের তথ্য–উপাত্ত পাওয়ার পর সোমবার ইমরান হোসেনসহ সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করেছে সিআইডি। মামলায় ইমরান হোসেন, সাদিক অ্যাগ্রোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তৌহিদুল আলম (৪৫) এবং অজ্ঞাতনামা ৫-৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের মাধ্যমে অর্জিত প্রায় ১৩৩ কোটি ৫৫ লাখ ছয় হাজার ৩৪৪ টাকা টাকা হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত বছর কোরবানির ঈদে ইমরানের সাদিক অ্যাগ্রো থেকে ১৫ লাখ টাকায় (প্রাথমিক দর) ‘উচ্চবংশীয়’ ছাগল কেনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হন তৎকালীন এনবিআর সদস্য মতিউর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান ওরফে ইফাত। এরপর আলোচনায় আসে সাদিক অ্যাগ্রো খামার।