মাগুরায় নৃশংস নির্যাতনের শিকার শিশুটির অবস্থা খুবই গুরুতর। বর্তমানে সে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ), ঢাকার শিশু বিভাগের পিআইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। চিকিৎসকরা শিশুটির জীবন রক্ষায় আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, কারণ শিশুটির হার্টবিট চারবার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
বুধবার (১২ মার্চ) রাতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে জানানো হয়েছে, শিশুটির শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত নাজুক।
বুধবার পর্যন্ত সে চারবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের (হৃদ্যন্ত্রের স্পন্দন বা হার্টবিট বন্ধ হয়ে যাওয়া) শিকার হয়েছে এবং প্রতিবারই সিপিআর প্রদানের মাধ্যমে তাকে স্থিতিশীল করা হয়েছে। এছাড়া, তার রক্তে লবণের ভারসাম্যহীনতার কারণে ডায়ালাইসিস চলছে। বর্তমানে শিশুটির রক্তচাপ ৬০/৪০ যা আরও নিম্নমুখী হচ্ছে, ফলে আশঙ্কা কাটেনি।
ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, সিএমএইচের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি উচ্চপর্যায়ের মেডিকেল বোর্ড শিশুটির চিকিৎসার জন্য আধুনিক সব চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করছে। প্রতিদিন স্ট্যান্ডার্ড আইসিইউ প্রটোকল অনুযায়ী তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে এবং সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
শিশুটি গত ৮ মার্চ সন্ধ্যা ৬টায় সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকার সিএমএইচ-এ ভর্তি হয়। তার চিকিৎসার জন্য সব ধরনের সম্ভাব্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছে। চিকিৎসকরা নিরলস চেষ্টা চালিয়ে গেলেও, শিশুটির শারীরিক জটিলতা এবং বারবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঘটনা তার অবস্থাকে আরও সংকটময় করে তুলছে।
এদিকে, মাগুরায় শিশুটির ওপর ভয়াবহ নির্যাতনের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সাধারণ মানুষ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি উঠেছে।
এমআর/টিএ