ধর্ষকদের বিচার ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে কাফন মিছিল

মাগুরায় নির্যাতনে মারা যাওয়া সেই শিশুসহ সব ধর্ষণের বিচার, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ ও ছাত্রনেতাদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে কাফন মিছিল করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন। মিছিল পূর্ববর্তী সমাবেশে সব রাজনৈতিক দল ও ছাত্রসংগঠনগুলোকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কারের কথা বলেন সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে কাফন মিছিলটি ভিসি চত্বর ঘুরে পুনরায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে সমাপ্ত হয়। মিছিলে বেশ কয়েকজনকে কাফনের কাপড় মুড়িয়ে ও কয়েকজনের শরীরে কাফনের কাপড় পেঁচিয়ে থাকতে দেখা যায়।

এসময় নেতাকর্মীরা- ‘ধর্ষকের আস্তানা, জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও’; ‘জাস্টিস জাস্টিস’; ‘দফা এক দাবি এক, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ’- ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

কাফন মিছিলের পূর্বে ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ বলেন, ৫ আগস্টের পর গত ৬ মাসে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক হয়নি। মাগুরার পরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ধর্ষণ হয়েছে। এমনকি ঢাবিতেও নারী শিক্ষার্থীর ওপর নিপীড়ন করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে প্রধান উপদেষ্টার কাছে যেতে চাইলে আমাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। ঢাবিতে সেদিন রাতভর মব তৈরি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা রাস্তায় হাঁটার সময় নিরাপত্তা পাচ্ছি না। নারী বন্ধুদের জন্য ভীতির পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে চলছে। হাসিনার আমলে দেখতাম, মন্ত্রী বা অন্যরা ব্যর্থ হলে জনগণ তাদের পদত্যাগ চাইলেও সেটা সম্ভব হতো না। এখন জনগণের সরকার ক্ষমতায়, তবুও জনগণ চাওয়ার পরেও ব্যর্থ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পদত্যাগ করছেন না। আমরা এই ব্যর্থ উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করছি। আমি বলব তাকে জনগণের সামনে জবাব দিতে হবে। অন্যথায় বোঝা যাবে তিনি জুলাইকে ধারণ করেন না।

সৈকত আরিফ আরও বলেন, আমরা গত ১২ মার্চ প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিতে গিয়েছিলাম। পুলিশ বিনা উসকানিতে আমাদের ওপর হামলা করেছে। অনেকে কর্মসূচিতে না থাকার পরেও তাদের নামে মামলা করা হয়েছে। একজন সাংবাদিক যিনি সংবাদ কাভার করতে গিয়েছেন তার নামেও মামলা হয়েছে। আমরা এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাই।

আরএইচ/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
দলীয় প্রতীক শাপলা চেয়ে ইসিতে আবেদন নাগরিক ঐক্যের Jul 02, 2025
img
২৪ ঘন্টায় করোনায় আরও ১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৭ Jul 02, 2025
img
শেখ রেহানার স্বামী ও দেবরের ১৫ কোটি টাকার সম্পদ জব্দের আদেশ Jul 02, 2025
img
সব কিছুতে ঐকমত্য হয়ে যাওয়াটা বাস্তবসম্মত সম্ভব নয়: জোনায়েদ সাকি Jul 02, 2025
img
নতুন মাইলফলক স্পর্শ করলেন শান্ত Jul 02, 2025
img
মিয়ানমারকে হারিয়ে এশিয়ান কাপের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ Jul 02, 2025
img
চট্টগ্রামে ডিআইজি কার্যালয় ঘেরাও করল বৈষম্যবিরোধীরা Jul 02, 2025
img
ঋতুপর্ণার জোড়া গোল, জয়ের আরও কাছে বাংলাদেশ Jul 02, 2025
img
‘হাতপাখার সমাবেশ’ বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রমাণ : ফারুক Jul 02, 2025
img
চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনায় নৌবাহিনীর সঙ্গে চুক্তির পরিকল্পনা Jul 02, 2025
img
প্রাক্তনকে ভুলে এবার বীরের সঙ্গে নতুন অধ্যায় শুরু তারা সুতারিয়ার Jul 02, 2025
img
শেফালির মৃত্যুর পরও ৭৭ বছর বয়সেও ফিলারে ভরসা মুমতাজের Jul 02, 2025
img
নতুন মামলায় গ্রেফতার আনিসুল-সালমান-দীপু মনি Jul 02, 2025
img
ইভিএম ক্রয়ে অনিয়ম: ইসির সাবেক তিন কর্মকর্তাকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ Jul 02, 2025
img
আমি ফাতিমার বাবা নই, না বয়ফ্রেন্ড : আমির খান Jul 02, 2025
img
কুশল মেন্ডিসকে ফেরালেন অভিষিক্ত তানভীর Jul 02, 2025
img
গণমাধ্যমের নৈতিক মানদণ্ড রক্ষায় জাতিসংঘকে সহায়তার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার Jul 02, 2025
img
পদ্মার এক বাঘাইড় বিক্রি সাড়ে ৪৩ হাজার টাকায় Jul 02, 2025
img
ফের পেছাল বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির তদন্ত প্রতিবেদন Jul 02, 2025
img
আল্লু অর্জুনই এখন ভারতের 'ম্যাস আইকন': মধুর ভান্ডারকর Jul 02, 2025