৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুতে ওঠার এক মাত্র উপায় কাঠের মই। সেতু নির্মাণ হয়েছে বছরখানেক হয়েছে। কিন্তু সেই সেতুতে যাওয়ার নেই কোন সড়ক। এমনকি সেতুর দুই পাশে ৯ গ্রামের মধ্যে নেই কোনো পাকা সড়ক। তার পরও নির্মিত হয়েছে ৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকার এই সেতু।
কুমিল্লার তিতাস উপজেলার দড়িমাছিমপুর-কলাকান্দি গ্রামের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করতে খালের ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। বিকল্প সড়ক নির্মাণ না হওয়ায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে গেছে। সড়ক না থাকার পরও এই সেতু নির্মাণকে সরকারি টাকার অপচয় বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
৬০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৯ মিটার প্রস্থের সেতুটির নির্মাণ প্রকল্পের কাজটি পায় জয়েন্ট ভেঞ্চারে পিসি ও এমআইআইআর এবং এমএসটি নামক তিনটি প্রতিষ্ঠান। কার্যাদেশ দেওয়া হয় ২০২১ সালের ১৩ অক্টোবর। সেতুর নির্মাণকাজ সমাপ্তির নির্ধারিত সময় ছিল ২০২৩ সালের ১৯ জানুয়ারি।
সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। সেতুর পূর্ব-পশ্চিম পাশে দুটি বাঁশের মই দেওয়া রয়েছে। পশ্চিম পাশে ১০-১৪ ফুট উচ্চতায় ও পূর্ব পাশে ১৫ থেকে ২০ ফুটের মতো উচ্চতায় দেওয়া রয়েছে বাঁশের মই। এলাকার মানুষ মই দিয়ে ও সেতুর নিচ দিয়ে পানি মাড়িয়ে যাতায়াত করছেন।
এদিকে দড়িমাছিমপুর গ্রামের বাসীন্দাদের কেউ মই দিয়ে সেতু পার হওয়ার সময় পড়ে গিয়ে পা ভেঙেছেন, এমন নজিরও রয়েছে। পাশাপাশি মই বেয়ে সেতুতে ওঠার কারণে কষ্ট লাঘব হওয়ার পরিবর্তে বরং বেড়েছে। সেতুর আশপাশের গ্রামে কোনো পাকা সড়ক না থাকলেও সাড়ে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে কেন এই সেতু নির্মাণ করা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন জনমনে।
কলাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, ৬ কোটি টাকার এই অতি উঁচু সেতু জনগণের কোনো কাজে আসবে না যদি প্রয়োজনীয় মাটি ভরাট করে সড়কের উচ্চতা বৃদ্ধি ও পাকাকরণ করা হয়। উপজেলা প্রকৌশলী জানান, দুই পাশে বিকল্প সড়কের নির্মাণকাজ দ্রুতই শুরু হবে। সংযোগ সড়কের দুই পাশে দেয়াল নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
এসএম/টিএ