বিগত পনেরো বছরে আওয়ামী লীগ নির্বাচনের নামে প্রহসন করে অনির্বাচিত শাসনে দেশের রাষ্ট্র কাঠামো ধ্বংস করে দিয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। তিনি বলেছেন, জনগণের অংশগ্রহণে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের ওপর জনগণের মালিকানা নবায়নই হবে সবচেয়ে বড় সংস্কার। কিন্তু সংস্কার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রিতা নির্বাচনকে প্রলম্বিত করবে। এ সুযোগে স্বার্থান্বেষী মহল ষড়যন্ত্র করে দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে, বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
সোমবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার শহীদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত ইফতার পূর্ব এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্থানীয় বীরমুক্তিযোদ্ধা, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতাকর্মী, ধর্মীয় নেতাকর্মী, ক্রীড়া সংগঠক, সাংস্কৃতিক কর্মী, সাংবাদিক ও গণঅভ্যুত্থানে শহিদ পরিবারের সদস্য ও আহতদের সম্মানে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেন।
এ সময় সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স আরও বলেন, অপার সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও হালুয়াঘাটের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হয়নি। আগামী দিনে বাংলাদেশের অভিযাত্রায় অবহেলিত হালুয়া ঘাটকে আলোকিত জনপদে পরিণত করা হবে।
সভায় ঘৃণার রাজনীতি পরিহার করার আহ্বান জানিয়ে প্রিন্স আরও বলেন, বিএনপি উন্নয়নের রাজনীতি করে। কারণ বিএনপির কাছে সবার ওপরে বাংলাদেশ। এতে দলীয় স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বিএনপি দেশ ও জাতিকে প্রাধান্য দেয়। বিএনপি দেশ ও জনগণের স্বার্থে বাস্তবভিত্তিক রাজনীতি করে। দেশ ও জনকল্যাণে যা কিছু ভালো, দলীয় স্বার্থের বাইরে গেলেও বিএনপি তা গ্রহণ করতে দ্বিধা করে না।
সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, সংস্কার নিয়ে সবাই যখন নিশ্চুপ ছিলেন, বিএনপি আওয়ামী ফ্যসিবাদের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে সর্বপ্রথম সংস্কারের কথা বলেছে এবং এখনও বলছে। ভবিষ্যতে ক্ষমতায় এসে তা বাস্তবায়ন করবে।
এ সময় হালুয়াঘাট পুলিশ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সাগর সরকার, ওসি আবুল খায়ের, উপজেলা প্রকৌশলী আবু মোহাম্মদ ফয়জুল হক, সমবায় অফিসার আবদুল মজিদ, উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালাম, যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার, জামায়াতে ইসলামীর উপজেলা আমির মোয়াজ্জেম হোসেন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসলাম মিয়া বাবুল, সদস্য সচিব আবু হাসনাত বদরুল কবীর, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক হানিফ মোহাম্মদ শাকের উল্লাহ, সদস্য সচিব আবদুল আজিজ খান, সিনিয়র আইনজীবী মাহবুবউল আলম স্বপন, উত্তর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ সাদমান ডুনন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মহিবুল হক টুটুল, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি দেবল সরকার, ট্রাইবেল ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুব্রত রেমা, অধ্যক্ষ স্বপন কুমার ধর, অধ্যক্ষ আবদুল আজিজ, প্রেসক্লাবের সভাপতি হাতেম আলী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রজ্জাক, বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুল মজিদ, গণঅভ্যুত্থানে নিহত শহীদ বিজয় ফরাজীর পিতা সাইদুল ফরাজীসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
আরএইচ