চার বছর সংসার করার পর শান্তিপূর্ণ ‘ডিভোর্স’ হয় সামান্থা রুথ প্রভু ও নাগা চৈতন্যর। ২০০ কোটি টাকার ভরণপোষণ ফিরিয়েছিলেন সামান্থা।
একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে একে-অপরকে খুব ভালোবেসে ফেলেছিলেন নাগা চৈতন্য ও সামান্থা রুথ প্রভু। কয়েক বছরের কোর্টশিপের পর দক্ষিণ ভারতীয় রীতিতে বিয়েটাও সারেন। তার পর গোয়ায় খ্রিস্ট ধর্মের নিয়ম মেনেও হয় রাজকীয় বিবাহ অনুষ্ঠান।
তার পর চার বছর যেতে না-যেতেই ভেঙে যায় তাঁদের ঘর। ২০২১ সালে ‘ডিভোর্স’ হয় সামান্থা-নাগার। ‘মিউচুয়াল’ ছিল আইনি ছাড়াছাড়ি। জানা গিয়েছে, বিয়ে ভাঙার পর নাকি এক টাকাও ভরণপোষণ নেননি সামান্থা।
সম্প্রতি বিয়ে ভেঙেছে যুজ়বেন্দ্র চাহাল ও ধনশ্রী বর্মার। ৪.৭৫ কোটি টাকার ভরণপোষণ পাবেন ধনশ্রী। তা নিয়ে ট্রোলিংয়ের শিকারও হয়েছেন তিনি। হৃতিক রোশনের সঙ্গে ডিভোর্সের পর সুজ়ন খানও যে ৩৮০ কোটি টাকার খোরপোশ পেয়েছিলেন, সেই বিষয়টিও লাইমলাইটে এসেছে। সঙ্গে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছেন সামান্থা রুথ প্রভু। তিনি যে ভরণপোষণ নাকচ করেছিলেন, ফের একবার মনে পড়ে গিয়েছে সবার।
ডিভোর্সের সময় ২০০ কোটি টাকার ভরণপোষণের প্রস্তাব পেয়েছিলেন সামান্থা রুথ প্রভু। তিনি সেই বিরাট অঙ্কের টাকা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
এমনটাও শোনা যায়, তাঁকে ৫০ কোটি টাকা ভরণপোষণ দিয়েছিলেন নাগা। কোনও টাকাই নিতে চাননি অভিনেত্রী। সেই সময় সূত্র মারফত জানা যায়, সামান্থা এতটাই ভেঙে পড়েছিলেন যে, টাকা পয়সা নিয়ে চিন্তাও করতে পারছিলেন না। তিনি নাগা চৈতন্যকে চেয়েছিলেন এবং বাঁচাতে চেয়েছিলেন তাঁর ভেঙে যাওয়া সংসারকেও। ফলে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ায় টাকা পয়সা নেওয়ার কথা কল্পনাও করতে পারেননি।
একটি পডকাস্টে সামান্থা বলেছিলেন, ‘আমরা আলাদা পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। একে অপরকে সম্মান জানিয়ে সরে এসেছিলাম। দু’জনেই নিজ-নিজ দুনিয়ায় ব্যস্ত হয়েছি। এর পর আর কোনও কথা উঠতেই পারে না।’
টাকা নয়, সম্মানই বড় জয়। ২০০ কোটি ছেড়ে দিলেন কিন্তু কোটি কোটি মানুষের শ্রদ্ধা জিতলেন সামান্থা। তিনি নিজেকে আবারও প্রমাণ করলেন তিনি কেবল স্ক্রিনের সুপারস্টার নন, বরং জীবনের বাস্তব মঞ্চেও এক অপরাজেয় নারীর প্রতিচ্ছবি।
আরএ/টিএ