মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনকে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২৬ মার্চ) সকালে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানাতে এসে ঘটনা ঘটে।
এ সময় এক পক্ষের হামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র দুই নেতা আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তাদের ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আহতরা হলেন—ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক বদরুল আলম সুমন ও সাভার পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেন মাতবর।
জানা গেছে, সকালে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ফেরার পথে বেদীর কিছুটা সামনেই হট্টগোল শুরু হয় স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই পক্ষের। এ সময় তাদের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারি শুরু হয়। একপর্যায়ে সাভার পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেন মাতবরকে এলোপাতাড়ি মারধর করতে দেখা যায়। কিছুক্ষণ পরেই স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটকে আবারও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের মাঝে হট্টগোল শুরু হয়। এ সময় ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক বদরুল আলম সুমনকে মারধরের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বদরুল আলম সুমন বলেন, ‘ফুল দেওয়ার সময় বেদীর সামনে একটু ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। ওখানে তেমন কোনো গ্যাঞ্জাম হয়নি। কিন্তু পরে ওই গ্যাঞ্জামের রেশ ধরে পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর ওরা হামলা করেছে। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় এক নেতাকে বিদায় দেওয়ার জন্য আমি তাকে নিয়ে বের হচ্ছিলাম। তখন স্মৃতিসৌধের মূল ফটকের পেছন থেকে আশুলিয়া থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল হালিম ওরফে হৃদয় দয়াল এসে বলেন, ওই বদি সুমনরে ধর। আমি পেছনে তাকাতেই, হৃদয় দয়াল আমাকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে।’
তিনি আরও বলেন, 'স্বেচ্ছাসেবক দলের মতো একটি সুশৃঙ্খল সংগঠনে হৃদয়ের মতো যারা আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে এখন এসে অনুপ্রবেশ করে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে। তাই আমি দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের কাছে সাংগঠনিক ব্যবস্থা চাইবো। প্রশাসনের কাছেও আমি এ ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করবো।’
দেলোয়ার হোসেন মাদবর বলেন, ফুল দেওয়া নিয়ে ঢাকা জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোহনরা ঝামেলা করেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান মোহন বলেন, ‘হৃদয় দয়াল আমার অনুসারী। স্মৃতিসৌধে মারামারি তো হয় নাই। জাস্ট ধাক্কাধাক্কি হইছে। আমরা যারা সিনিয়র ছিলাম পরে সেটা সমাধান করে দিয়েছি। তারপরও আমরা এটা নিয়ে বসব। কারণ সুমন ভাই আমার বড় ভাই। আমরা একসঙ্গে পলিটিক্স করেছি’।
এসএম/টিএ