রাজশাহীর বেসরকারি বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্রদলের কমিটি গঠনের চেষ্টা ও শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে এক শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে।
এছাড়াও আরও তিন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং দুই শিক্ষার্থীকে সতর্ক করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. হাবিবুল্লাহ জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ও শৃঙ্খলা কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী শিবলী নোমানী ইসলাম নিলয় বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। তিনি নিজেকে ছাত্রদল নেতা হিসেবে পরিচয় দিতেন।
বহিষ্কার প্রাপ্ত অন্য তিন শিক্ষার্থী হলেন- আইন ও মানবাধিকার বিভাগের ফারারুজ্জামান বাধন, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের নূর-ই আলম সিদ্দিকী এবং রিজওয়ান তানভীর মীম। বাধনকে দুই সেমিস্টার, নূর-ই আলমকে এক সেমিস্টারের জন্য এবং রিজওয়ানকে তার সনদ ছয় মাসের জন্য অকার্যকর করা হয়েছে।
এছাড়া, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী সোয়াইব হোসেন এবং মুরশিদা মেহেরিন হাসিকে কঠোর সতর্ক করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ। তবে শিবলী নোমানী সেখানে ছাত্রদলের কমিটি গঠনের চেষ্টা করেছিলেন এবং শিক্ষার্থীদের জোর করে ছাত্রদলের ফরম পূরণে বাধ্য করতেন। এছাড়া, তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, বিচার বিভাগ ও পুলিশ সম্পর্কে আপত্তিকর পোস্ট করতেন, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করেছিল।
গত বছরের ২৮ নভেম্বর এক বিভাগের অনুষ্ঠানে শিবলী এক শিক্ষার্থীকে হুমকি দেন, পরবর্তীতে ওই শিক্ষার্থী হামলার শিকার হন এবং তার চোয়ালের হাড় ভেঙে যায়। এই ঘটনায় চন্দ্রিমা থানায় মামলা করা হয়। জামিন না পেয়ে শিবলী এক ম্যাজিস্ট্রেট সম্পর্কেও আপত্তিকর মন্তব্য করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, সার্বিক বিষয় তদন্তের পর শৃঙ্খলা কমিটির সুপারিশে সিন্ডিকেট চার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা এবং দুজনকে সতর্ক করেছে।
এসএস/এসএন
