জার্মান পত্রিকা দের স্পিগেলের সঙ্গে এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, যা বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) প্রকাশিত হয়েছে। এতে তিনি জুলাই অভ্যুত্থান, সরকার প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ, শেখ হাসিনার দুঃশাসন ও সংস্কার প্রস্তাবনাসহ নানা বিষয়ে আলোচনা করেন।
সংস্কার প্রস্তাবনা নিয়ে সাংবাদিক লরা হোফলিঙ্গারের প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস জানান, বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, পুলিশ প্রশাসনসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতে সংস্কারের জন্য ১৫টি কমিশন গঠন করা হয়েছে। এসব কমিশনের সুপারিশ রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হবে এবং তারা ‘সম্মত’, ‘অসম্মত’, অথবা ‘পরিবর্তনসহ সম্মত’—এই তিনটি বিকল্পের মধ্যে একটি বেছে নেবে। এরপর দলগুলোর প্রতিশ্রুতি জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে, যাতে জনগণ বুঝতে পারেন, কারা সত্যিই পরিবর্তন চায়। এই প্রক্রিয়াকে তিনি ‘জুলাই সনদ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন, যা গণআন্দোলনের মাসের নামে রাখা হয়েছে।
রাজনৈতিক দলগুলো এই সনদ মানতে বাধ্য কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এটি তাদের প্রতিশ্রুতি হিসেবে থাকবে এবং জনগণ তাদের অবস্থান জানতে পারবে। একইসঙ্গে, প্রধানমন্ত্রী পদের মেয়াদ সীমিতকরণ ও সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের মতো গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার বিষয়ে দলগুলোর মতামত ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
একটি দুর্নীতি ও সহিংসতার ইতিহাস থাকা দলের ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ড. ইউনূস বলেন, নির্বাচিত সরকারই এসব সংস্কার কার্যকর করবে, তবে দলগুলো পরিবর্তনে বিলম্ব করতে পারে।
তিনি আরও জানান, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “হ্যাঁ, অবশ্যই”—আগামী কয়েক মাসের মধ্যে তার দায়িত্ব শেষ হবে।
এসএস