বৃষ্টি নয় বরং গরমই এবার ঈদের চিন্তার বিষয়

ঈদের দিন কোনো বৃষ্টির সম্ভবনা দেখছে না আবহাওয়া অধিদপ্তর। এবার বৃষ্টি ছাড়াই ঈদের নামাজ পড়া যাবে। দিনের বেলায় গরম ভোগাবে। তবে তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হওয়ার সম্ভাবনা কম।

ঈদুল ফিতর হতে পারে ৩১ মার্চ বা ১ এপ্রিল। এই দুদিনের যেদিনই ঈদ হোক না কেন, আবহাওয়ার পরিস্থিতি এমন থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়, সাত জেলার উপর দিয়ে বইছে মৃদু তাপপ্রবাহ। জেলাগুলো হলো- রাজশাহী, রাঙ্গামাটি, ফেনী, সীতাকুণ্ড, যশোর, বাগেরহাট ও পটুয়াখালী। এই মৃদু তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে।

তাপমাত্রা বৃদ্ধির এই প্রবণতা আরও দুই দিন থাকতে পারে বলে করছেন আবহাওয়াবিদেরা।

এবার যদি ২৯টি রোজা হয়, তবে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপিত হবে ৩১ মার্চ। আর রোজা যদি ৩০টিই হয়, তবে ঈদ হবে ১ এপ্রিল। যেদিন ঈদ হোক এই দু’দিনের আবহাওয়া একই রকম থাকবে বলে জানিয়েছ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, ৩১ মার্চ বা ১ এপ্রিল তাপমাত্রা এখনকার চেয়ে বেশি থাকতে পারে। তার মানে অবশ্য এই নয় যে ওই সময় তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাবে।

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, এলাকাভেদে তাপমাত্রার হেরফের হতে পারে। তবে ঈদের দিন তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হওয়ার সম্ভাবনা কম। এর ব্যতিক্রমও হতে পারে। এই ব্যতিক্রম হওয়ার কারণ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের যেসব অঞ্চল থেকে বায়ুপ্রবাহ বাংলাদেশে প্রবেশ করে, সেখানকার তপ্ত হাওয়া। এর হেরফেরে তাপমাত্রা এখন যে ধারণা করা হচ্ছে, তার চেয়ে বেশি হতে পারে।

কোনো এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে সেখানে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে গণ্য করা হয়। তবে এই তাপমাত্রা অন্তত দুই দিন একনাগাড়ে থাকতে হয়, তাহলেই তাপপ্রবাহ বলা হয়।

ঈদের দিন (৩১ মার্চ অথবা ১ এপ্রিল) সেন্ট মার্টিন ও কক্সবাজারের কিছু স্থানে এই বৃষ্টি হতে পারে। তবে এর পরিমাণ খুব সামান্য হবে বলে জানিয়েছেন আবুল কালাম মল্লিক।

এসএম

Share this news on: