ঈদে সুস্থ থাকবেন যেভাবে

ঈদ সামনে নিয়ে নাড়ির টানে বাড়ির দিকে ছুটছেন সবাই। পরিবারের সঙ্গে ঈদে আনন্দ ভাগাভাগি করার মধ্যে অন্যরকম সুখ। ঈদে বেশি আনন্দ করতে গিয়ে পুরো আনন্দটাই যাতে মাটি না হয় সে জন্য খেয়াল রাখতে হবে শরীরের দিকে। তাই ঈদে সুস্থ থাকতে কী করবেন, কী করবেন না, তা জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার পর ঈদ সবার জন্য খুশির বার্তা বয়ে আনে। ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরো দৃঢ় হতে থাকে। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ঈদ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ঋতুতে হয়।

সে হিসেবে এবার চৈত্র মাসের শেষের দিকে ঈদ পড়েছে। গরম বেশি হওয়ায় আমাদের শরীরের প্রতি একটু বাড়তি যত্ন নিতে হবে। না হয় গরমে নানান স্বাস্থ্য সমস্যায় পড়তে পারেন।

তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকলে শরীর থেকে ঘাম বের হওয়ার কারণে অনেক ইলেক্ট্রোলাইট বের হয়ে যায়।

তখন ডিহাইড্রেশন দেখা দিতে পারে তাই এই গরমে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে যাতে শরীরে হাইড্রেশন ঠিক থাকে। মনে রাখতে হবে, তেল-মসলাযুক্ত খাবার বেশি খেলে বুক জ্বালাপোড়া, এসিডিটি, বদহজম হতে পারে। তাই খুব তেল মসলাযুক্ত, ঝালজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।

ঈদের সময় খাদ্য তালিকায় স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের দিকে নজর দেওয়া জরুরি। নানারকম ফলের তৈরি সালাদ, কাস্টার্ড, ফলের রস, পানিজাতীয় খাবারের বেশি রাখতে হবে।

ঈদের দিন সবাই একটু তেল মসলা যুক্ত খাবার খেয়ে থাকে। উৎসবের খাবার সে ক্ষেত্রে ঘি এর পরিমাণ অল্প দিতে হবে এবং মাংস রান্না করতে গেলে চর্বি বাদ দিয়ে রান্না করলে কিছুটা স্বাস্থ্যসম্মত হয়। গরুর মাংস বা খাসির মাংস খেতে গেলে খুব অল্প পরিমাণে খেতে হবে। কারণ, দীর্ঘ একমাস

সকাল থেকে টানা ১৪ ঘণ্টা না খেয়ে থেকে পরে ইফতারের সাহরিতে যে অভ্যাসটা গড়ে ওঠে, সেটা ঈদের সময় একবারে তাড়াহুড়া করে সকাল থেকে বেশি পরিমাণে খাবার খেলে তাতে হিতে বিপরীত হয়ে যায়।
 
আস্তে আস্তে অল্প পরিমাণে খাবার খেতে হবে এবং শুরুতেই ঈদের দিন সকাল বেলায় সেমাই, রুটি দিয়ে খাবারটা শুরু করতে পারেন। দুপুরে মাংস খেলেও কিন্তু পরিমাণে কম। পানি বেশি করে খাবেন এবং গরমের মধ্যে বাইরে গেলে অবশ্যই ছাতা, পানির বোতল সঙ্গে নিন। রাতের খাবার মসলাদার না হওয়াই ভালো। রাতের খাবার ৮ টার আগেই খেয়ে নিন। রাতে খাওয়ার অন্তত দুই ঘণ্টা পর শুয়ে যান। তাতে হজম ভালো হয়।


এমআর/টিএ


Share this news on: