ফিলিস্তিনিদের সমর্থন করায় যুক্তরাষ্ট্রে তুর্কি শিক্ষার্থী গ্রেফতার, ভিসা বাতিল

যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ বোস্টনের কাছে টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক তুর্কি ডক্টরেট শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার এবং তার ভিসা বাতিল করেছে।

রুমেইসা ওজতুর্ক নামের এই শিক্ষার্থী গাজায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছিলেন। রয়টার্স লিখেছে, মঙ্গলবার রাতে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ওজতুর্ককে গ্রেফতার করে।

ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সোচ্চার হওয়ায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মেয়াদে বোস্টন থেকে কোনও অভিবাসী শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম
ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে জড়িত থাকায় ট্রাম্প প্রশাসন এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে বাস করা বিদেশি বংশোদ্ভূত শিক্ষার্থীদেরকে আটক করেছে বা আটকের চেষ্টা করছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের এ ধরনের পদক্ষেপকে বাকস্বাধীনতার ওপর আক্রমণ হিসেবে নিন্দা করেছে অনেকেই। যদিও ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি এ ধরনের কিছু বিক্ষোভ ইহুদিবিদ্বেষী এবং তা মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি ক্ষুন্ন করতে পারে।

গ্রেফতারের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সমারভিলে, ম্যাসাচুসেটসে ৩০ বছর বয়সী তুর্কি নাগরিক ওজতুর্ককে তার বাড়ির কাছ থেকে আটক করে সাদা পোশাকধারীরা। তার আইনজীবী জানান, ওজতুর্ক তখন তার বন্ধুদের সঙ্গে ইফতার করতে যাচ্ছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের মুখপাত্র ট্রিসিয়া ম্যাকলাফলিন এক পোস্টে বলেন, “ওজতুর্ক হামাসের সমর্থনে কাজ করে আসছিলেন। এটি (হামাস) একটি বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন, যারা মার্কিনদেরকে মেরে ফেলাতেও আনন্দ পায়।”

তিনি বলেন, “ভিসা একপ্রকারের বিশেষ সুযোগ, অধিকার নয়।” ফুলব্রাইট স্কলার ও টাফটসের ‘চাইল্ড স্টাডি অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম’-এর শিক্ষার্থী ওজতুর্ক এফ-১ ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে গিয়েছিলেন।

তিনি এক বছর আগে টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পত্রিকা ‘টাফটস ডেইলি’-তে কো-অথার হিসেবে মতামত কলাম লিখেছিলেন।

ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা এবং ফিলিস্তিনি গণহত্যার স্বীকৃতি দিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে শিক্ষার্থীদের জানানো দাবিতে কর্তৃপক্ষ যে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছিল তার সমালোচনা করা হয় ওই মতামত কলামে।

এই লেখার এক বছর পরেই ওজতুর্ক গ্রেফতার হলেন। ওজতুর্কের আইনজীবী মাহসা খানবাবাই বলেন, “দেশজুড়ে আমরা যে নমুনা দেখছি,তাতে তার বাকস্বাধীনতা চর্চাই গ্রেপ্তারের মূল কারণ বলে মনে হচ্ছে।”

ওজতুর্ককে আটক করার পর, খানবাবাই মঙ্গলবার রাতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, তাকে অবৈধভাবে আটক করা হয়েছে।

এরপর, বস্টনের ইউএস ডিস্ট্রিক্ট জাজ ইন্দিরা তালওয়ানি রাতেই ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টকে নির্দেশ দেন, যেন তারা ওজতুর্ককে ম্যাসাচুসেটস থেকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করার আগে অন্তত ৪৮ ঘণ্টার নোটিশ দেয়।


টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট সুনীল কুমার এক বিবৃতিতে বলেন, গ্রেফতারের বিষয়ে তাদের কাছে আগাম কোনও তথ্য ছিল না এবং এটি তাদের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য উদ্বেগজনক হতে পারে।

ওদিকে, ওয়াশিংটনস্থ তুরস্কের দূতাবাস একটি বিবৃতিতে জানায়, তারা ওজতুর্কের আটক নিয়ে ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট, আইসিই এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।

“আমাদের নাগরিকের অধিকার রক্ষায় প্রয়োজনীয় কনসুলার সেবা ও আইনগত সহায়তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে,” বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
ওজতুর্ককে আটক করার প্রায় তিন সপ্তাহ আগে মাহমুদ খালিলকে আটক করা হয়। খলিল কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট এবং যুক্তরাষ্ট্রের বৈধ স্থায়ী বাসিন্দা। ট্রাম্প তার বিরুদ্ধে হামাসকে সমর্থন করার অভিযোগ তুলেছেন। তবে খালিল এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ বোস্টনের কাছে টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক তুর্কি ডক্টরেট শিক্ষার্থীকেযুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ বোস্টনের কাছে টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক তুর্কি ডক্টরেট শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার এবং তার ভিসা বাতিল করেছে।

রুমেইসা ওজতুর্ক নামের এই শিক্ষার্থী গাজায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছিলেন। রয়টার্স লিখেছে, মঙ্গলবার রাতে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ওজতুর্ককে গ্রেফতার করে।

ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সোচ্চার হওয়ায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মেয়াদে বোস্টন থেকে কোনও অভিবাসী শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম।


ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে জড়িত থাকায় ট্রাম্প প্রশাসন এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে বাস করা বিদেশি বংশোদ্ভূত শিক্ষার্থীদেরকে আটক করেছে বা আটকের চেষ্টা করছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের এ ধরনের পদক্ষেপকে বাকস্বাধীনতার ওপর আক্রমণ হিসেবে নিন্দা করেছে অনেকেই। যদিও ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি এ ধরনের কিছু বিক্ষোভ ইহুদিবিদ্বেষী এবং তা মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি ক্ষুন্ন করতে পারে।

গ্রেফতারের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সমারভিলে, ম্যাসাচুসেটসে ৩০ বছর বয়সী তুর্কি নাগরিক ওজতুর্ককে তার বাড়ির কাছ থেকে আটক করে সাদা পোশাকধারীরা। তার আইনজীবী জানান, ওজতুর্ক তখন তার বন্ধুদের সঙ্গে ইফতার করতে যাচ্ছিলেন।


যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের মুখপাত্র ট্রিসিয়া ম্যাকলাফলিন এক পোস্টে বলেন, “ওজতুর্ক হামাসের সমর্থনে কাজ করে আসছিলেন। এটি (হামাস) একটি বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন, যারা মার্কিনদেরকে মেরে ফেলাতেও আনন্দ পায়।”

তিনি বলেন, “ভিসা একপ্রকারের বিশেষ সুযোগ, অধিকার নয়।” ফুলব্রাইট স্কলার ও টাফটসের ‘চাইল্ড স্টাডি অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম’-এর শিক্ষার্থী ওজতুর্ক এফ-১ ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে গিয়েছিলেন।

তিনি এক বছর আগে টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পত্রিকা ‘টাফটস ডেইলি’-তে কো-অথার হিসেবে মতামত কলাম লিখেছিলেন।


ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা এবং ফিলিস্তিনি গণহত্যার স্বীকৃতি দিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে শিক্ষার্থীদের জানানো দাবিতে কর্তৃপক্ষ যে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছিল তার সমালোচনা করা হয় ওই মতামত কলামে।

এই লেখার এক বছর পরেই ওজতুর্ক গ্রেফতার হলেন। ওজতুর্কের আইনজীবী মাহসা খানবাবাই বলেন, “দেশজুড়ে আমরা যে নমুনা দেখছি,তাতে তার বাকস্বাধীনতা চর্চাই গ্রেপ্তারের মূল কারণ বলে মনে হচ্ছে।”

ওজতুর্ককে আটক করার পর, খানবাবাই মঙ্গলবার রাতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, তাকে অবৈধভাবে আটক করা হয়েছে।

এরপর, বস্টনের ইউএস ডিস্ট্রিক্ট জাজ ইন্দিরা তালওয়ানি রাতেই ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টকে নির্দেশ দেন, যেন তারা ওজতুর্ককে ম্যাসাচুসেটস থেকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করার আগে অন্তত ৪৮ ঘণ্টার নোটিশ দেয়।

টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট সুনীল কুমার এক বিবৃতিতে বলেন, গ্রেফতারের বিষয়ে তাদের কাছে আগাম কোনও তথ্য ছিল না এবং এটি তাদের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য উদ্বেগজনক হতে পারে।

ওদিকে, ওয়াশিংটনস্থ তুরস্কের দূতাবাস একটি বিবৃতিতে জানায়, তারা ওজতুর্কের আটক নিয়ে ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট, আইসিই এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।

“আমাদের নাগরিকের অধিকার রক্ষায় প্রয়োজনীয় কনসুলার সেবা ও আইনগত সহায়তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে,” বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

ওজতুর্ককে আটক করার প্রায় তিন সপ্তাহ আগে মাহমুদ খালিলকে আটক করা হয়। খলিল কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট এবং যুক্তরাষ্ট্রের বৈধ স্থায়ী বাসিন্দা। ট্রাম্প তার বিরুদ্ধে হামাসকে সমর্থন করার অভিযোগ তুলেছেন। তবে খালিল এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।



যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ বোস্টনের কাছে টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক তুর্কি ডক্টরেট শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার এবং তার ভিসা বাতিল করেছে।

রুমেইসা ওজতুর্ক নামের এই শিক্ষার্থী গাজায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছিলেন। রয়টার্স লিখেছে, মঙ্গলবার রাতে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ওজতুর্ককে গ্রেপ্তার করে।

ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সোচ্চার হওয়ায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মেয়াদে বোস্টন থেকে কোনও অভিবাসী শিক্ষার্থী গ্রেফতার হওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম।


ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে জড়িত থাকায় ট্রাম্প প্রশাসন এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে বাস করা বিদেশি বংশোদ্ভূত শিক্ষার্থীদেরকে আটক করেছে বা আটকের চেষ্টা করছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের এ ধরনের পদক্ষেপকে বাকস্বাধীনতার ওপর আক্রমণ হিসেবে নিন্দা করেছে অনেকেই। যদিও ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি এ ধরনের কিছু বিক্ষোভ ইহুদিবিদ্বেষী এবং তা মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি ক্ষুন্ন করতে পারে।

গ্রেপ্তারের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সমারভিলে, ম্যাসাচুসেটসে ৩০ বছর বয়সী তুর্কি নাগরিক ওজতুর্ককে তার বাড়ির কাছ থেকে আটক করে সাদা পোশাকধারীরা। তার আইনজীবী জানান, ওজতুর্ক তখন তার বন্ধুদের সঙ্গে ইফতার করতে যাচ্ছিলেন।


যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের মুখপাত্র ট্রিসিয়া ম্যাকলাফলিন এক পোস্টে বলেন, “ওজতুর্ক হামাসের সমর্থনে কাজ করে আসছিলেন। এটি (হামাস) একটি বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন, যারা মার্কিনদেরকে মেরে ফেলাতেও আনন্দ পায়।”

তিনি বলেন, “ভিসা একপ্রকারের বিশেষ সুযোগ, অধিকার নয়।” ফুলব্রাইট স্কলার ও টাফটসের ‘চাইল্ড স্টাডি অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম’-এর শিক্ষার্থী ওজতুর্ক এফ-১ ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে গিয়েছিলেন।

তিনি এক বছর আগে টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পত্রিকা ‘টাফটস ডেইলি’-তে কো-অথার হিসেবে মতামত কলাম লিখেছিলেন।


ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা এবং ফিলিস্তিনি গণহত্যার স্বীকৃতি দিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে শিক্ষার্থীদের জানানো দাবিতে কর্তৃপক্ষ যে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছিল তার সমালোচনা করা হয় ওই মতামত কলামে।

এই লেখার এক বছর পরেই ওজতুর্ক গ্রেফতার হলেন। ওজতুর্কের আইনজীবী মাহসা খানবাবাই বলেন, “দেশজুড়ে আমরা যে নমুনা দেখছি,তাতে তার বাকস্বাধীনতা চর্চাই গ্রেপ্তারের মূল কারণ বলে মনে হচ্ছে।”

ওজতুর্ককে আটক করার পর, খানবাবাই মঙ্গলবার রাতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, তাকে অবৈধভাবে আটক করা হয়েছে।

এরপর, বস্টনের ইউএস ডিস্ট্রিক্ট জাজ ইন্দিরা তালওয়ানি রাতেই ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টকে নির্দেশ দেন, যেন তারা ওজতুর্ককে ম্যাসাচুসেটস থেকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করার আগে অন্তত ৪৮ ঘণ্টার নোটিশ দেয়।

টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট সুনীল কুমার এক বিবৃতিতে বলেন, গ্রেপ্তারের বিষয়ে তাদের কাছে আগাম কোনও তথ্য ছিল না এবং এটি তাদের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য উদ্বেগজনক হতে পারে।

ওদিকে, ওয়াশিংটনস্থ তুরস্কের দূতাবাস একটি বিবৃতিতে জানায়, তারা ওজতুর্কের আটক নিয়ে ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট, আইসিই এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।

“আমাদের নাগরিকের অধিকার রক্ষায় প্রয়োজনীয় কনসুলার সেবা ও আইনগত সহায়তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে,” বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

ওজতুর্ককে আটক করার প্রায় তিন সপ্তাহ আগে মাহমুদ খালিলকে আটক করা হয়। খলিল কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট এবং যুক্তরাষ্ট্রের বৈধ স্থায়ী বাসিন্দা। ট্রাম্প তার বিরুদ্ধে হামাসকে সমর্থন করার অভিযোগ তুলেছেন। তবে খালিল এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।


এফপি/এস এন   এবং তার ভিসা বাতিল করেছে।

রুমেইসা ওজতুর্ক নামের এই শিক্ষার্থী গাজায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছিলেন। রয়টার্স লিখেছে, মঙ্গলবার রাতে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ওজতুর্ককে গ্রেপ্তার করে।

ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সোচ্চার হওয়ায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মেয়াদে বোস্টন থেকে কোনও অভিবাসী শিক্ষার্থী গ্রেফতার হওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম।

ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে জড়িত থাকায় ট্রাম্প প্রশাসন এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে বাস করা বিদেশি বংশোদ্ভূত শিক্ষার্থীদেরকে আটক করেছে বা আটকের চেষ্টা করছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের এ ধরনের পদক্ষেপকে বাকস্বাধীনতার ওপর আক্রমণ হিসেবে নিন্দা করেছে অনেকেই। যদিও ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি এ ধরনের কিছু বিক্ষোভ ইহুদিবিদ্বেষী এবং তা মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি ক্ষুন্ন করতে পারে।

গ্রেপ্তারের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সমারভিলে, ম্যাসাচুসেটসে ৩০ বছর বয়সী তুর্কি নাগরিক ওজতুর্ককে তার বাড়ির কাছ থেকে আটক করে সাদা পোশাকধারীরা। তার আইনজীবী জানান, ওজতুর্ক তখন তার বন্ধুদের সঙ্গে ইফতার করতে যাচ্ছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের মুখপাত্র ট্রিসিয়া ম্যাকলাফলিন এক পোস্টে বলেন, “ওজতুর্ক হামাসের সমর্থনে কাজ করে আসছিলেন। এটি (হামাস) একটি বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন, যারা মার্কিনদেরকে মেরে ফেলাতেও আনন্দ পায়।”

তিনি বলেন, “ভিসা একপ্রকারের বিশেষ সুযোগ, অধিকার নয়।” ফুলব্রাইট স্কলার ও টাফটসের ‘চাইল্ড স্টাডি অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম’-এর শিক্ষার্থী ওজতুর্ক এফ-১ ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে গিয়েছিলেন।

তিনি এক বছর আগে টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পত্রিকা ‘টাফটস ডেইলি’-তে কো-অথার হিসেবে মতামত কলাম লিখেছিলেন।

ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা এবং ফিলিস্তিনি গণহত্যার স্বীকৃতি দিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে শিক্ষার্থীদের জানানো দাবিতে কর্তৃপক্ষ যে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছিল তার সমালোচনা করা হয় ওই মতামত কলামে।

এই লেখার এক বছর পরেই ওজতুর্ক গ্রেফতার হলেন। ওজতুর্কের আইনজীবী মাহসা খানবাবাই বলেন, “দেশজুড়ে আমরা যে নমুনা দেখছি,তাতে তার বাকস্বাধীনতা চর্চাই গ্রেপ্তারের মূল কারণ বলে মনে হচ্ছে।”

ওজতুর্ককে আটক করার পর, খানবাবাই মঙ্গলবার রাতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, তাকে অবৈধভাবে আটক করা হয়েছে।

এরপর, বস্টনের ইউএস ডিস্ট্রিক্ট জাজ ইন্দিরা তালওয়ানি রাতেই ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টকে নির্দেশ দেন, যেন তারা ওজতুর্ককে ম্যাসাচুসেটস থেকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করার আগে অন্তত ৪৮ ঘণ্টার নোটিশ দেয়।
টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট সুনীল কুমার এক বিবৃতিতে বলেন, গ্রেপ্তারের বিষয়ে তাদের কাছে আগাম কোনও তথ্য ছিল না এবং এটি তাদের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য উদ্বেগজনক হতে পারে।

ওদিকে, ওয়াশিংটনস্থ তুরস্কের দূতাবাস একটি বিবৃতিতে জানায়, তারা ওজতুর্কের আটক নিয়ে ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট, আইসিই এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।

“আমাদের নাগরিকের অধিকার রক্ষায় প্রয়োজনীয় কনসুলার সেবা ও আইনগত সহায়তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে,” বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

ওজতুর্ককে আটক করার প্রায় তিন সপ্তাহ আগে মাহমুদ খালিলকে আটক করা হয়। খলিল কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট এবং যুক্তরাষ্ট্রের বৈধ স্থায়ী বাসিন্দা। ট্রাম্প তার বিরুদ্ধে হামাসকে সমর্থন করার অভিযোগ তুলেছেন। তবে খালিল এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

এফপি/এস এন  

Share this news on:

সর্বশেষ

img
লালমনিরহাটে ম্যুরাল ভাঙার প্রতিবাদে ডিসির অপসারণ চেয়ে সিপিবির মানববন্ধন Apr 02, 2025
img
সাবেক দুই স্ত্রীকে খুশি করতে যা করলেন শাকিব Apr 02, 2025
img
নিজ দলের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার স্বাধীনতা চায় না প্রধান দলগুলো Apr 02, 2025
img
ভুল ইংরেজি বলে ফের সমালোচনায় নায়িকা শুভশ্রী Apr 02, 2025
img
চট্টগ্রামে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৮ Apr 02, 2025
img
মধ্যপ্রাচ্যে আরও বিমানবাহী রণতরী পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র Apr 02, 2025
img
মার্কিন যুদ্ধবিমানের ওপর উপসাগরীয় দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা Apr 02, 2025
img
নেই গরম কমার লক্ষণ, ৪ অঞ্চলে বইছে তাপপ্রবাহ Apr 02, 2025
img
হাসপাতালে ভর্তি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, আছেন নিবিড় পর্যবেক্ষণে Apr 02, 2025
img
শ্বাসরুদ্ধকর রাত শেষে,ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ Apr 02, 2025