ঈদের পাশাপাশি বাজেট সামনে রেখে রেকর্ড সংখ্যক গাড়ি আমদানি হয়েছে বাংলাদেশে। শুধু চট্টগ্রাম বন্দরেই গত তিন মাসে ৩ হাজার ৮৫৪টি গাড়ি খালাস হয়। এর মধ্যে মার্চের ১৩ দিনে খালাস হয় ১ হাজার ৯৫৯টি গাড়ি। জানা গেছে, আমদানি করা গাড়ি থেকে ৭৪৮ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ।
চট্টগ্রাম বন্দরে গত তিন মাসে ভিড়েছে গাড়ি বহনকারী এ ধরনের ৭টি বিশেষ জাহাজ। আর খালাস করা হয়েছে ৩ হাজার ৮৫৪টি গাড়ি। জানুয়ারিতে ২টি জাহাজে ৯৩২টি এবং ফেব্রুয়ারিতে আরও ২টি জাহাজে ৯৬৩টি গাড়ি খালাস হলেও মার্চে সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ অনুযায়ী, ঈদ উপলক্ষে গাড়ি আমদানির পরিমাণ বেড়েছে। এতে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে রাজস্বের পরিমাণও। চট্টগ্রাম বন্দরের বহুতল শেডের পাশাপাশি অন্যান্য শেডগুলো এখন আমদানি করা গাড়িতে পরিপূর্ণ। ১ হাজার ২৫০টি ধারণ ক্ষমতার বন্দরের শেডে বর্তমানে রয়েছে ১ হাজার ৭৩৪টি গাড়ি। এরমধ্যে ১ হাজার ৪৩০টি গাড়ি হলো সদ্য আমদানি করা। বাকি ৩০০ গাড়ি নিলামে বিক্রির অপেক্ষায় রয়েছে।
এদিকে আমদানি করা গাড়ি থেকে ৭৪৮ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ। জানুয়ারিতে ২০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হলেও মার্চে তা ২৯৪ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিটি গাড়ি থেকে ৮০০ থেকে ৮৫০ শতাংশ শুল্ক আদায় করে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ।
তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, আসন্ন বাজেটে গাড়ির শুল্ক হার আরো বাড়ানো হতে পারে। তখন গাড়ির দাম'ও তুলানমূলক বেড়ে যাবে। আর তাই বাড়তি লাভের আশায় এখনই বাড়ানো হয়েছে গাড়ি আমদানি। ঈদের আগে অন্তত ৭০০ গাড়ি নিয়ে আরও একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে ভেড়ার কথা রয়েছে।
এসএন