সালমান খান অনিয়মিত। শুটিংয়ে ইচ্ছেমতো আসেন। যখন খুশি চলে যান! পরিচালকের নির্দেশের তোয়াক্কা করেন না। বাকিদের কথাও ভাবেন না। অর্থাৎ, সেটেও ‘দাদাগিরি’ চলে তাঁর— অভিযোগ ‘ভাইজান’-এর বিরুদ্ধে। ‘সিকান্দার’ ছবির শুটিংয়ের সময়েও নাকি এর ব্যতিক্রম ঘটেনি।
৩১ মার্চ ছবিমুক্তির আগে এই অভিযোগে নতুন করে বিদ্ধ অভিনেতা। বিষয়টি নিয়ে চর্চা শুরু হতেই সোচ্চার সালমান । শুক্রবার সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন তিনি। আত্মপক্ষ সমর্থন করে পাল্টা বলেছেন, “আমি যদি অনিয়ম করতাম তা হলে আমার ঝুলিতে ১০০টিরও বেশি ছবি থাকত না।”
নিজের পক্ষে অভিনেতার আরও অনেক বক্তব্য। তাঁর কথায়, “প্রত্যেক অভিনেতার নিজস্ব নিয়ম আছে। আমারও রয়েছে। অনেক অভিনেতা ভোর ৬টা থেকে শুটিং শুরু করতে পারেন। আমি সাড়ে ১১টা-১২টা থেকে শুরু করি। কারণ, ঘুম ভাঙার পর আমার অনেক কাজ থাকে। যেমন, শরীরচর্চায় বেশ কিছুটা সময় খরচ হয়। প্রয়োজনীয় নথিতে সই করা, দরকারি ফোন ধরা থাকে। এর পর এক কাপ কফি নিয়ে সামান্য সময়ের জন্য বসি। নিজের দৃশ্য ঝালিয়ে নিই। তার পর সেটে যাই।” তাঁর আফসোস, তাঁর দেরিতে আসা সকলের চোখে পড়ে, তিনি যে চেয়ারে বসার পর্যন্ত সময় পান না, সেটা কারও চোখে পড়ে না!
“সেটে আসার পর আমি কোথাও যাই না। চেয়ারে কোমর ঠেকানোর সময় পর্যন্ত পাই না। যেখানে কাজ করি সেখানেই একটা তাঁবু খাটিয়ে দেওয়া হয়, আমার প্রয়োজন মেটাতে”, দাবি তাঁর। ‘ভাইজান’ এও জানিয়েছেন, কেন যে তাঁর নামে এত বদনাম— সেটা তিনি নিজেই জানেন না। তাঁর মতে, “এ সবের জন্য আমায় কিছুই করতে হয় না। কিছু ব্যক্তি নিজ দায়িত্বে এই ধরনের গুজব ছড়িয়ে দেন। লোকে বিশ্বাসও করে! কত শক্ত দৃশ্যে অভিনয় করতে হয়, কত স্টান্ট দিতে হয়, সে সবের কথা কেউ বলেন না!”
সালমানের এই কথায় সায় দিয়েছেন তাঁর ঈদের ছবি ‘সিকান্দার’-এর নায়িকা রাশ্মিকা মান্দানাও। তিনিও জানিয়েছেন, শুটিংয়ের আগে তাঁর নায়ক সম্বন্ধে অনেক কথা শুনেছিলেন। সালমানের সঙ্গে কাজের পর তাঁর সেই ভুল ধারণা ভেঙে গিয়েছে।