ওজন কমানোর জন্য অনেকেই সকালে খালি পেটে চিয়া সিড খেয়ে থাকেন। তবে এই চিয়া সিড যে ত্বকের যত্নেও ব্যবহার করা যায়, তা হয়তো অনেকেই জানেন না। ত্বকের অনেক সমস্যাই নিমেষে দূর করে এই চিয়া সিড। তার মধ্যে অন্যতম হলো বলিরেখার সমস্যা।
বয়সের ভারে ত্বকে বলিরেখার প্রভাব পড়বেই। বলিরেখার কারণে চোখের চারপাশের চামড়া কুঁচকে যেতে পারে। এ ছাড়া কপাল ও গলার অংশের ত্বকে ভাঁজ দেখা দিতে পারে। আর এর জন্য ব্যবহার করতে পারেন চিয়া সিড।
কিভাবে ব্যবহার করবেন, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
স্ক্রাবার হিসেবে চিয়া সিড
চিয়া সিড পানিতে ভিজিয়ে রাখলে যে পিছলে যাওয়া বা জেল বেসড টেক্সচার তৈরি হয় সেটাই ত্বকে লাগিয়ে স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। চিয়া সিডের জেল-বেসড এই টেক্সচার ত্বকে থাকা মরা কোষ বা ডেড স্কিন সেল ঝরিয়ে দিতে পারে। তার ফলে ত্বকের উজ্জ্বল ভাব ফিরে আসে।চিয়া সিডের স্ক্রাব ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জ্বল হওয়ার পাশাপাশি মোলায়েমও থাকবে। ত্বকে জমে থাকা টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে চিয়া সিড।
এ ছাড়া এই বীজ কোলাজেন নামক প্রোটিন তৈরিতে সাহায্য করে, যা ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী একটি উপকরণ। অয়েলি স্কিনের ক্ষেত্রে ত্বকে অতিরিক্ত সিবাম বা তেলের সিক্রেশন কমাতে সাহায্য করে চিয়া সিড। তাই এই বীজ দিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে ব্যবহার করলে অনেক উপকারই পাবেন আপনি।ব্রণের সমস্যাও কমাবে এই বীজ। চিয়া সিড দিয়ে শুধু ফেস স্ক্রাব নয়, ফেস প্যাকও তৈরি করা যায়।
বলিরেখার সমস্যা কমায়
চিয়া সিডের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস, ফাইবার, ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি এসিড, প্রোটিনসহ একাধিক নিউট্রিয়েন্টস। চিয়া সিডের মধ্যে থাকা এসব উপকরণই মূলত অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস, ত্বক টানটান রাখতে সাহায্য করে। চিয়া সিডের মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস ত্বকের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। ফলে অসময়ে ত্বকে রিঙ্কেলস দেখা যায় না।
ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি এসিড রয়েছে চিয়া সিডে। এই উপকরণও ত্বকের ইলাস্টিসিটি বজায় রাখে খুব ভালোভাবে। ফলে ত্বক টানটান থাকে। প্রতিদিন সকালে চিয়া সিড ভেজানো পানি খেতে পারেন। এ ছাড়া চিয়া সিড যুক্ত ফেসওয়াশ, ফেসপ্যাক, ফেস-স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন। তবে একটা বয়সের পরে আপনার ত্বকে বলিরেখা দেখা দেবেই। সময়ে যাতে এর প্রভাব না পড়ে সেই দিকে খেয়াল রাখবে চিয়া সিড।
এফপি/এস এন