তাঁকে বলিউডের অন্যতম প্রতিভাবান অভিনেতা ও চিত্রনাট্যকার হিসেবে চেনে সবাই। ৩০০-এর বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন, লিখেছেন প্রায় ২৫০টি ছবির সংলাপ।
তাঁকে বলিউডের অন্যতম প্রতিভাবান অভিনেতা ও চিত্রনাট্যকার হিসেবে চেনে সবাই। ৩০০-এর বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন, লিখেছেন প্রায় ২৫০টি ছবির সংলাপ। ইতিবাচক হোক বা নেতিবাচক, যে চরিত্রই হোক না কেন, কাদের খান সবসময়ই দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন। কিন্তু জানেন কি, এই সাফল্যের পেছনে লুকিয়ে রয়েছে এক করুণ শৈশবের গল্প?
কাদের খানের শৈশব ছিল দুঃসহ। বাবা-মায়ের সম্পর্ক ছিল অশান্তিতে ভরা। শেষমেশ তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। আত্মীয়দের চাপে তাঁর মা আবার বিয়ে করেন, কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত ছোট্ট কাদেরের জীবনে নিয়ে আসে আরও কঠিন দিন। সৎ বাবা তাঁকে সহ্য করতে পারতেন না। কাদেরকে বাড়ি থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে মসজিদের সামনে ফেলে আসতেন, বাধ্য করতেন ভিক্ষা করতে।
সারা সপ্তাহে তিন দিনের বেশি ঠিকমতো খেতে পেতেন না। অপমান আর কষ্টে একদিন রাগে নিজের পড়ার বই পর্যন্ত ছিঁড়ে ফেলেছিলেন তিনি। তবে কাদেরের মা ছিলেন অদম্য। তিনি ছেলেকে ভিক্ষার পাশাপাশি পড়াশোনা চালিয়ে যেতে বাধ্য করেন। আর সেখান থেকেই বদলে যায় ভাগ্যের চাকা।
ছাত্রজীবনে থিয়েটারে অভিনয় শুরু করেন কাদের। একদিন বিখ্যাত কমেডিয়ান আঘা তাঁর নাটক দেখে মুগ্ধ হন। তিনি কাদেরকে নিয়ে যান স্বয়ং দিলীপ কুমারের কাছে। কিংবদন্তি অভিনেতা কাদেরের প্রতিভায় এতটাই মুগ্ধ হন যে তাঁকে সরাসরি ‘সাগিনা’ ও ‘বৈরাগ’ ছবিতে সুযোগ দিয়ে দেন। এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি কাদের খানকে। বলিউডে একের পর এক সাফল্য তাঁর জীবনের কঠিন অধ্যায়গুলোকে পেছনে ফেলে দেয়।
এসএন