সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি) প্রায় ২,৪৬৫ কোটি টাকার বাংলাদেশি পণ্য ভারতে রপ্তানি হয়েছে। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৩১ কোটি ২২ লাখ টাকা বেশি।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখার তথ্যানুসারে, এই সময়ে ২ লাখ ১৩ হাজার ৬৯৮ টন পণ্য ভারতে রপ্তানি হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৮০ হাজার ১৫৮ টন। ফলে চলতি অর্থবছরে রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছে ৩৩ হাজার ৫৪০ টন।
ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে যেসব পণ্য রপ্তানি হয় তার মধ্যে রয়েছে গার্মেন্টস বর্জ্য, তাঁতের শাড়ি, রাইস ব্রান অয়েল, মধু, ক্লিনিক ক্লথ, পাটের সুতা, পাটের চট, নারিকেল শলা, প্রাণের জুস, লিচু ড্রিংকস, চানাচুর ও চিপস।
ভোমরা স্থলবন্দরের অন্যতম পণ্য আমদানি-রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স গনি অ্যান্ড সন্সের ব্যবস্থাপক অশোক কুমার বলেন, ভারতের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা থাকায় রপ্তানি আয় বেড়েছে।
মেসার্স রাজ ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী জাকির হোসেন মন্টু জানান, তার প্রতিষ্ঠানের রপ্তানি গত অর্থবছরের তুলনায় অন্তত ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি নাসিম ফারুক খান মিঠু বলেন, ভোমরা স্থলবন্দর খুবই সম্ভাবনাময়, কারণ এখান থেকে কলকাতার দূরত্ব কম। তা ছাড়া ভোমরার সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকায় ব্যবসায়ীরা এ বন্দর ব্যবহারে আগ্রহী হচ্ছেন।
ভোমরা স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা বলেন, রপ্তানি বাড়লেও আমদানি কমেছে। বন্দরে সবধরনের পণ্য আমদানির অনুমতি থাকলেও বাস্তবে তা সম্ভব হচ্ছে না, যা ব্যবসায়ীদের জন্য একটি বড় সমস্যা।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের ডেপুটি কমিশনার মো. আবুল কালাম বলেন, ব্যবসায়ীদের সবধরনের সেবা দেওয়া হচ্ছে এবং অসাধু উপায়ে কোনো পণ্য প্রবেশ করতে না পারে সেদিকেও কড়া নজর রাখা হচ্ছে।
ভোমরা স্থলবন্দরের মাধ্যমে রপ্তানি বাড়ায় সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে আমদানি বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় নীতিগত সহায়তা চেয়েছেন তারা।
এমআর/টিএ