‘ইন্টিমেসি কোঅর্ডিনেটর’— শব্দটা এখন বলিউডে ক্রমেই গুরুত্ব পাচ্ছে। আর এর পেছনে যথেষ্ট কারণও আছে। যুগের পর যুগ ধরে অভিনেত্রীদের যেসব অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে, তা শিউরে ওঠার মতো।
এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন অনুপ্রিয়া গোয়েঙ্কা, যিনি ‘পদ্মাবত’, ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’, ‘ওয়ার ২’-এর মতো সিনেমায় নজর কেড়েছেন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানালেন, শুটিংয়ের সময় দু’বার এমন পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন, যেখানে সহ-অভিনেতার ‘উত্তেজনা’ তার অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল!
একবার তো চুম্বনের দৃশ্য শুটিংয়ের সময় তিনি বুঝতে পারছিলেন যে উল্টোদিকের মানুষটা নিজেকে সামলাতে পারছেন না! “তখনই মনে হয়েছিল, এটা তো ঠিক হচ্ছে না... অপমানিত লাগছিল,” বললেন অনুপ্রিয়া।
আরেকবার, তিনি এমন পোশাক পরেছিলেন, যেখানে কোমর ধরে অভিনয় করাই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু সহ-অভিনেতা অন্য কোথাও হাত রাখলেন। “যেটা একদমই দরকার ছিল না! কোমরেও তো ধরতে পারতেন”— বললেন অভিনেত্রী।
যদিও সরাসরি কিছু না বলে, অনুপ্রিয়া নিজেই তার হাত তুলে কোমরে রাখেন আর নরম স্বরে বলেন, “পরের টেক থেকে এখানে ধরো, নীচে নয়।”
ঘনিষ্ঠ দৃশ্য মানেই কি ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে? অনুপ্রিয়ার মতে, তা কিন্তু নয়! তিনি বলেন, “আলতো করেও চুম্বন করা যায়, কিন্তু কেউ কেউ যেন অতিরিক্ত উৎসাহী হয়ে পড়ে এসব দৃশ্যের শুটিংয়ে, যা পুরো ব্যাপারটাকে অস্বস্তিকর করে তোলে।”
এটাই কি প্রমাণ করে না যে ইন্টিমেসি কোঅর্ডিনেটর আজকের দিনে কতটা দরকারি? অভিনেত্রীদের শুধু অভিনয় করলেই চলবে, নিজেদের রক্ষা করতেও হবে—এটা কেমন নিয়ম?
তাই প্রশ্ন থেকে যায়—ঘনিষ্ঠ দৃশ্য কি বাস্তবতার নামে সুযোগ নেওয়ার লাইসেন্স? একা অভিনেত্রীরা কতদিন এভাবে নিজেদের সুরক্ষা করতে বাধ্য হবেন?
আরএ