ফিলিস্তিন একটি বরকতময় ভূমি, যাকে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন। সুরা বনি ইসরাইলের প্রথম আয়াতে আল্লাহ বলেন, "পবিত্র সেই সত্তা, যিনি রাতের অন্ধকারে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসায় তাঁর বান্দাকে নিয়ে যান, যেখানে আমি বরকত রেখেছি।" (সুরা বনি ইসরাইল: ১) এই স্থান শুধু ধর্মীয় গুরুত্বই নয়, বরং এর অধিবাসীদের সুরক্ষা প্রতিটি মুসলমানের দায়িত্ব, যা আল্লাহ তাআলা আমাদের ওপর আরোপ করেছেন।
আল্লাহ তাআলা সুরা হজে বলেন, "যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হচ্ছে, তাদেরকে প্রতিরক্ষার অধিকার দেওয়া হয়েছে, কারণ তাদের ওপর অত্যাচার করা হয়েছে।" (সুরা হজ: ৩৯-৪০) এছাড়া সুরা নিসায় মুসলিমদের উদ্দেশ্যে আরও কঠিন নির্দেশনা আসে, "তোমরা কেন আল্লাহর পথে সেইসব অসহায়দের জন্য যুদ্ধ করবে না, যারা বলে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের এই الظالمদের থেকে মুক্তি দিন।’" (সুরা নিসা: ৭৫)
রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, "মুমিনরা পরস্পরের ভাই, যদি এক মুসলিম জুলুমের শিকার হয়, অন্য মুসলিমদের তা সমর্থন করা উচিত।" (সহিহ মুসলিম: ২৫৮৬)
ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি দায়িত্ব পালন, তাদের পাশে দাঁড়িয়ে, তাদের অধিকার রক্ষার জন্য সব মুসলমানকে একত্রিত হতে হবে। এই দায়িত্ব পালন করতে আল্লাহ তাআলা মুসলিমদের সাহস ও সমর্থন দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন, "হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর পথে জিহাদ করো এবং আল্লাহ তোমাদের সাহায্য করবেন।" (সুরা সফ: ১০-১৩)
এটি কোরআন ও হাদিসের স্পষ্ট নির্দেশনা। মুসলমানদের পরস্পরের প্রতি সহানুভূতির প্রতি গুরুত্ব দেয়ার মাধ্যমে, আমাদের সকলের একত্রিত হওয়া এবং ফিলিস্তিনবাসীর জন্য যুদ্ধের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা উচিত।
এসএস/এসএন