কৌশানীর কাছে ‘কিলবিল সোসাইটি’ আরেকটা সিনেমা নয়, এটা যেন নিজের জীবনের বঞ্চনা, কষ্ট, ভালোবাসা, লড়াই আর সাহসের সংমিশ্রণ। চুম্বনদৃশ্য হোক বা সাহসী সংলাপ—এই ছবিতে তিনি শুধু একজন অভিনেত্রী নন, বরং একজন নারী যিনি নিজের জায়গা বানিয়ে নিচ্ছেন আলো আর অন্ধকারের মাঝে।
১১ এপ্রিল মুক্তি পাচ্ছে ‘কিলবিল সোসাইটি’। আর দর্শকেরা অপেক্ষায়—পর্দায় কৌশানীর নতুন রূপ দেখার, এক পূর্ণা হয়ে ওঠার।
সোশ্যাল মিডিয়ায় গরম হাওয়ার মতো ছড়িয়ে পড়েছে সিনেমার নায়িকা কৌশানী মুখার্জীকে ঘিরে আলোচনার ঢেউ। টলিউডের জাঁকজমক গন্ডির মধ্যে থেকে বেরিয়ে তিনি যেন এবার খুঁজে পেয়েছেন এক অন্যরকম জায়গা—সাহসী, পরিণত, এবং নিজস্ব।
শ্যুটিং ফ্লোরে যখন ‘ওয়ান-টেক’ কিস
"পরমদা তো ইমরান হাশমি! অনেক চুমু খেয়েছে পর্দায়, তাই স্বচ্ছন্দ। আমিও জানিয়ে দিয়েছিলাম, চুম্বনের দৃশ্য একটেকেই চাই, দ্বিতীয় বার হবে না।"
কৌশানীর এই স্বীকারোক্তি এখন টলিপাড়ায় হট টপিক। শুধু তাই নয়, পরিচালক সৃজিত মুখার্জীর কথাও এখন রীতিমতো ডায়লগ হয়ে ঘুরছে নেটদুনিয়ায়—
“তুই আর চুমু খাস না বলেছিস, পরের চুমু আমাকে খেতে হবে!”
এই এক চুম্বনেই যেন শুরু এক নতুন অধ্যায়ের।
বনির রিঅ্যাকশন?
চুম্বনের পর ক্যামেরার বাইরের নীরবতা ছুঁয়ে গিয়েছে ব্যক্তিগত জীবনকেও।
“সঙ্গী হিসাবে আপত্তি হতেই পারে,”—খোলাখুলি স্বীকার করেছেন কৌশানী।
“দু’জনেই এখন সহজ, কিন্তু একটা নিস্তব্ধতা ছিল। এটা আমাদের সম্পর্কের প্রথম চুমু দৃশ্য।”
তবে বুঝিয়ে দিয়েছেন—বোঝাপড়াটাই আসল, আর সেটাই সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রেখেছে।
সৃজিতের ‘সাপবাড়ি’ আর ‘নো মেকআপ’ ডিকশনারি
এখানেই শেষ নয়। পর্দার সাহসী দৃশ্যের পাশাপাশি কৌশানী শেয়ার করলেন সৃজিতের ‘জিরো গ্ল্যাম’ শ্যুটিং ডিমান্ড—
“ভুরু আঁকতেও দিত না, লিপস্টিক তো দূরের কথা! ঘুম থেকে উঠেই যেমন, সেভাবেই শ্যুট করেছি।”
আর icing on the cake? সৃজিতের বাড়ির ২২টা সাপ!
“আমি বলেছি, জঙ্গলে ছেড়ে দাও! আমি সাইন করেছি কিলবিল সোসাইটিতে, খতরোঁ কে খিলাড়িতে নয়!”
Drama on screen, and off screen too? We love it.
ইন্ডাস্ট্রির তিক্ততা: সুযোগ, বৈষম্য, আর লড়াই
“৯ বছর লাগল সৃজিতদার নজরে পড়তে,”—সরাসরি আক্ষেপ তার কণ্ঠে।
টলিউডের বদ্ধ গণ্ডি, পরিচিত মুখের ঘূর্ণাবর্তে এক নতুন মুখের জায়গা করে নিতে যে কতটা সংগ্রাম লাগে, তা এবার মুখ খুলে বললেন কৌশানী।
এখানেই থামেননি—ওটিটি যুগে ইউটিউবারদের জনপ্রিয়তা, অভিনেত্রীদের পারিশ্রমিক বৈষম্য সবকিছু নিয়েই বলেছেন নির্দ্বিধায়।
“আমি না করলেই অন্য কেউ অনেক কমে রাজি হয়ে যান।”
সৃজিতের সঙ্গে রসায়ন?
“ও খুব রোমাঞ্চকর একজন মানুষ! ওর সঙ্গে বন্ধুত্ব তৈরি হয়ে গিয়েছে।”
পরিচালক-নায়িকার সম্পর্ক ঘিরে থাকা গসিপের উত্তরে কৌশানী বরং ঠাণ্ডা মাথায় বললেন—“সমালোচনায় কান দিই না। রসায়ন থাকাটাই তো স্বাভাবিক।”
উল্লেখযোগ্য, বহুরূপী দিয়ে এই ডুয়োর যাত্রা শুরু হলেও কিলবিল সোসাইটি হয়তো তাঁদের পেশাগত রসায়নকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।
মুম্বইতেও কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে কৌশানীর। অডিশন দিয়েছেন খাকি-র জন্য, বাজেট ইস্যুতে হয়নি কাজ।
“কিন্তু ইচ্ছে তো আছেই,”—বললেন তিনি, নতুন চ্যালেঞ্জের অপেক্ষায়।