সাধারণ সমাজের চোখে ‘একাকীত্ব’ মানেই একরাশ দুঃখ, একরাশ অপূর্ণতা। কিন্তু বলিউডের চার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সেই প্রচলিত ধারণাকে ভেঙে দিয়েছেন একঝলক আত্মবিশ্বাস, স্বাধীনতা আর ব্যক্তিত্ব দিয়ে। জীবনে অনেক পুরুষ এলেও, নিজস্বতাই তাদের জীবনের আসল পরিচয় হয়ে উঠেছে। সুস্মিতা সেন, তাবু, অমিশা পটেল ও রেখা একা থেকেও হয়ে উঠেছেন লক্ষ লক্ষ নারীর অনুপ্রেরণা।
সুস্মিতা সেন
প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী সুস্মিতা সেন বরাবরই নিজের শর্তে জীবন বেছে নিয়েছেন। মিলিন্দ সোমান, বিক্রম ভট্ট, রণদীপ হুডা থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী ললিত মোদী, অনেকের সঙ্গেই সম্পর্কে জড়িয়েছেন তিনি। কিন্তু কোনো সম্পর্কে নিজেকে হারাননি। বরং দত্তক নিয়েছেন দুই কন্যা, রেনে ও আলিশাকে।
এক সাক্ষাৎকারে সুস্মিতা বলেছিলেন, “আমি বিয়ে করিনি মানে এই নয়, আমি একা। আমার জীবন পূর্ণ।”
তাবু
তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে বলিউডে নিজের অভিনয় দক্ষতায় দাপট দেখিয়েছেন তাবু। নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বরাবরই নিঃশব্দ তিনি। তাবু স্পষ্ট জানিয়েছেন, “ভুল সঙ্গীর সঙ্গে থাকা থেকে একা থাকাই অনেক শ্রেয়। সুখ মানে শুধুই প্রেম নয়।” ৫২ বছর বয়সেও পর্দায় তার উপস্থিতি নতুন প্রজন্মের অভিনেত্রীদের চেয়েও শক্তিশালী।
আমিশা প্যাটেল
প্রথম সিনেমাতেই ঝড় তুলেছিলেন, ‘গদর’ দিয়ে। মাঝখানে হারিয়ে গেলেও নিজের প্রতি বিশ্বাস হারাননি আমিশা প্যাটেল। বিয়ে না করে, কেরিয়ারে ফোকাস রেখে, আবারও ফিরে এসেছেন ‘গদর ২’–এর মাধ্যমে। উচ্চশিক্ষিত, স্মার্ট এবং স্পষ্টভাষী এই অভিনেত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন, নারীর মূল্য শুধু বিবাহিত পরিচয়ে নয়, নিজস্ব সাফল্যেই তার জায়গা।
রেখা
রেখার জীবনের গল্প যেন সিনেমার চেয়েও নাটকীয়। মুকেশ আগরওয়ালের সঙ্গে স্বল্পস্থায়ী বৈবাহিক জীবন আর তার আত্মহত্যার ট্র্যাজেডি রেখার জীবনে গভীর ছাপ রেখে গেছে। এরপর আর কখনও বিয়ে করেননি তিনি। অমিতাভ বচ্চনের প্রতি তার অপূর্ণ প্রেম আজও রহস্যে ঘেরা। সিঁথিতে সিঁদুর পরেন তিনি, কিন্তু কার নামে, তা নিয়েও কৌতূহলের শেষ নেই।
এই চারজনের কেউ কারও ‘সহধর্মিণী’ না হয়েও সমাজের চোখে হয়েছেন সফল, শ্রদ্ধেয়, অনুপ্রেরণাদায়ী। বিয়ে না করলেই জীবন অসম্পূর্ণ, এই প্রাচীন ধারণাকে তারা ভেঙে দিয়েছেন অসীম আত্মবিশ্বাস, সৃজনশীলতা আর আত্মসম্মানের বলে।
এসএম