বিশ্বের বৃহত্তম দুই অর্থনীতি, আমেরিকা এবং চিন। শুল্কযুদ্ধের তীব্রতায় আরও একধাপ এগিয়ে গেছে দুই দেশ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির পর, এই যুদ্ধের পরবর্তী পর্যায় নিয়ে দুনিয়া মুখিয়ে আছে। গত ২ এপ্রিল, ট্রাম্প চিন থেকে আমেরিকায় আসা পণ্যে অতিরিক্ত ৩৪% শুল্ক আরোপ করেন। কিন্তু এতে থামেনি চিন, পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে তারা আমেরিকার পণ্যে ৩৪% শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়।
এরপর, ট্রাম্প চিনের পণ্যে আরও ৫০% শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি দেন। এতে যদি সত্যিই শুল্ক বাড়ানো হয়, তবে চিনের পণ্যের উপর মোট শুল্কের পরিমাণ হবে ১০৪%—যা আমেরিকার বাজারে চিনে উৎপাদিত পণ্যকে কার্যত মুছে ফেলতে পারে।
এই পদক্ষেপের পর, চিনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আমেরিকান নীতির তীব্র সমালোচনা করে জানায়, “আমেরিকা ভুলের উপর ভুল করছে” এবং তাদের 'ব্ল্যাকমেল' করার চরিত্র আবারও প্রকাশ পেয়েছে। চিন তাদের পক্ষ থেকে জানায়, আমেরিকার এই ধরনের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তারা লড়াই করবে, তবে কীভাবে লড়াই চলবে, তা স্পষ্ট করেনি শি জিনপিং সরকার।
ট্রাম্পের এই শুল্কনীতি নিয়ে বাজারেও বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। শেয়ার বাজারে বিপুল পতন হয়েছে, এবং বিশ্বের বিভিন্ন বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান, যেমন জেপি মর্গ্যান, মন্দার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। তারা মনে করছে, চলতি বছরে আমেরিকার অর্থনীতি মন্দায় প্রবেশ করতে পারে এবং বিশ্ববাজারে মন্দার সম্ভাবনা ৬০ শতাংশ।
এদিকে, ট্রাম্প শুল্কনীতি নিয়ে দাবি করেছেন, “ওষুধে কাজ হচ্ছে!” তবে সমালোচকরা বলছেন, তার এই পদক্ষেপের ফলে বিশ্ব বাণিজ্য এবং অর্থনীতি আরও অস্থিতিশীল হতে পারে।
আরএ/এসএন