ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘উত্তেজনাকর বক্তব্য পরিহারের’ আহ্বানকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, উভয় দেশের পক্ষ থেকেই উত্তেজনা এড়ানোর এই মনোভাব প্রশংসনীয়।
মঙ্গলবার এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই ধরনের উত্তেজক মন্তব্য দুই দেশ থেকেই মাঝে মাঝে শোনা যায়, যেমন বাংলাদেশ থেকেও কেউ কেউ মন্তব্য করে, তেমনি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বা পশ্চিমবঙ্গ থেকেও কঠোর বক্তব্য আসতে দেখা যায়। তবে সম্পর্ক উন্নয়নের স্বার্থে দুই পক্ষেরই এ ধরনের মন্তব্য থেকে বিরত থাকা উচিত বলে তিনি মত দেন।
গত ৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডের ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর প্রথম সাক্ষাৎ হয়। সেখানে মোদী বাংলাদেশের সঙ্গে ‘বাস্তবতার নিরিখে’ ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ে তোলার আগ্রহ প্রকাশ করেন। সেইসঙ্গে তিনি ‘পরিবেশ নষ্ট করে এমন কোনো মন্তব্য এড়িয়ে চলার’ পরামর্শ দেন।
মোদীর বক্তব্যে উঠে আসে ভারতের পক্ষ থেকে ‘গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক’ বাংলাদেশের প্রতি সমর্থনের বার্তা। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, নির্বাচনের প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক মহল সব সময়ই আগ্রহী থাকে, বিশেষ করে বিনিয়োগ ও স্থিতিশীলতার কারণে। তাই এমন প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক এবং বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যেই জানিয়েছে, দায়িত্ব শেষ করে দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করে রাজনীতিবিদদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ও মোদীর মধ্যে বৈঠকটি ছিল বন্ধুত্বপূর্ণ ও ইতিবাচক পরিবেশে, যেখানে দুই দেশই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের ওপর জোর দিয়েছে।
এসএস/টিএ