ঢাকা লিগে আজ যে কাজ হয়েছে, সেটা দেশের ক্রিকেটকে কলঙ্কিত করেছে: ইমরুল

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে শাইনপুকুর ও গুলশানের ম্যাচে দুটি আউটের ধরন নিয়ে ক্রিকেট অঙ্গনে সমালোচনার ঝড় বইছে। সাবেক-বর্তমান ক্রিকেটররা তাদেরকে ধুয়ে দিচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এবার এই তালিকায় যুক্ত হয়েছেন ইমরুল কায়েস।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো ভিডিও থেকে দেখা যায়, শাইনপুকুরের দুই ব্যাটার ডাউন দ্য উইকেটে এসে বল খেলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে স্টাম্পিং হন। এভাবে আউটের পর ইমরুল ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সামাজিক মাধ্যমে।

তার পোস্ট, ‘আসসালামু আলাইকুম, আজকে আমি হৃদয় থেকে ক্ষোভ নিয়ে কিছু কথা বলতে বাধ্য হচ্ছি। মিডিয়া, ক্রিকেটার, সাংবাদিক, ধারাভাষ্যকার- সবাই আজ একটা ঘটনায় স্তম্ভিত, ক্ষুব্ধ। কারণটা খুব পরিষ্কার- ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আজ যে কাজটা হয়েছে, সেটা শুধু লজ্জাজনক না, এটা বাংলাদেশের ক্রিকেটকে কলঙ্কিত করেছে।’

ঢাকা লিগে কয়েকটি দল একই পর্ষদ থেকে পরিচালিত হয়ে আসছে। এই কারণে অবনমন এড়ানো কিংবা সুপার লিগে জায়গা করতে ম্যাচ ছেড়ে দেওয়ার মতো ঘটনা নিয়মিতই ঘটছে। এই প্রসঙ্গ টেনে ইমরুল বলেছেন, ‘একটা দলকে সুপার লিগে উঠতে না দেওয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে আরেক মাঠে দুই দল নিজেদের মধ্যে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নিয়েছে! এটা কী ধরনের নাটক? আজকের সেই ম্যাচের ভিডিও প্রমাণসহ নিচে রয়েছে- আপনারা নিজেরাই দেখুন, বিচার করুন।’

ইমরুলের কাছে বাংলাদেশের ভবিষ্যত ক্রিকেট শঙ্কায়, ‘এই যদি হয় আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটের অবস্থা, তাহলে ভবিষ্যতে জাতীয় দলে কারা খেলবে? কাদের হাতে আমরা তুলে দিচ্ছি দেশের পতাকা? যারা মাঠে নামার আগেই ম্যাচের ফয়সালা করে নেয়, তাদের দিয়ে কী দেশের প্রতিনিধিত্ব হয়? লজ্জা! যাদের ব্যবহার করে এসব নোংরা খেলা খেলানো হচ্ছে, তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার, কারণ ওরা আজ নিজেরাই নিজেদের বিক্রি করে দিয়েছে।’

তার আরও কথা, ‘আমরা যারা বাংলাদেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখি, সেই স্বপ্নকে বাস্তব করতে দিনরাত খেটে যাচ্ছি। আর কিছু বিকৃত মানসিকতার মানুষ নিজেদের স্বার্থে গোটা দেশের ক্রিকেটকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।’

ইমরুল আরও যোগ করে বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড চেষ্টা করছে উন্নতির, কিন্তু এইসব ঘটনাগুলো সেই চেষ্টাকেও মাটিতে মিশিয়ে দিচ্ছে।’
যারা এ ঘটনায় জড়িত, তাদের বিরুদ্ধ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ইমরুলের, ‘আমি জোরালোভাবে দাবি জানাই- এদের বিরুদ্ধে এখনই কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা এই কাজে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে শাস্তি দিতে হবে। আর যদি সেটা সম্ভব না হয়, তাহলে অন্তত আজকের ম্যাচ বাতিল করে পুনরায় রিশিডিউল করা উচিত। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে এভাবে শেষ হতে দেওয়া যায় না। আজকে চুপ থাকলে, কাল হয়তো আর কিছু বলার সুযোগ থাকবে না।’

এফপি 

Share this news on: