তকমাটা আগেই লেগেছিল। ম্যাচের আগে বার্সা মিডফিল্ডার গাভি যতই ‘ফেভারিট’ আলোচনা এড়িয়ে যেতে চাইলেন, একবার সেই তকমা গায়ে লাগলে আর নিস্তার নেই। তবে বার্সেলোনা যেন নিজেই প্রমাণ করল কেন তারা ফেভারিট—চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে হানসি ফ্লিকের দল উড়িয়ে দিল বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে, ৪-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে।
খেলার শুরু থেকেই আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়ে বার্সা। প্রথম ছয় মিনিটেই তারা তিনটি গোলের সুযোগ তৈরি করে, তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেগুলোর কোনোটিই জালে জড়ায়নি। ইয়ামাল, লেভান্ডভস্কি ও আবার ইয়ামালের শটগুলো ছিল চোখে পড়ার মতো।
ম্যাচের মাঝমাঠ ছিল পেদ্রি, ফেরমিন লোপেজ এবং ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংয়ের নিয়ন্ত্রণে। বিশেষ করে ফ্রেঙ্কি খেলেছেন সম্ভবত তার বার্সা ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ম্যাচ।
প্রথম গোল আসে ম্যাচের ২৪ মিনিটে একটি সেট পিস থেকে। ইনিগো মার্তিনেজের হেড থেকে বল পেয়ে পাউ কুবারসি শট নেন, যা রাফিনিয়া ছুঁয়ে জালে পাঠান। যদিও অফসাইডের শঙ্কা ছিল, কিন্তু ভিএআর পরীক্ষায় নিশ্চিত হয় গোলটি বৈধ।
প্রথমার্ধে সমতা ফেরানোর সুযোগ পায় ডর্টমুন্ড, তবে গিরাসি শেজনির সামনে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন।
বিরতির পর আরও আগ্রাসী হয় বার্সা। দ্বিতীয় গোলটি আসে ইয়ামাল-পেদ্রি-রাফিনিয়া-লেভান্ডভস্কির দুর্দান্ত কম্বিনেশন থেকে। এরপর ফেরমিন লোপেজের কাটব্যাক থেকে জোড়া গোল পূর্ণ করেন লেভা।
শেষ গোলটি করেন ইয়ামাল। লেভান্ডভস্কির প্রেসিং থেকে বল পেয়ে রাফিনিয়ার পাসে এগিয়ে গিয়ে একা গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তরুণ এই উইঙ্গার।
ডর্টমুন্ড একবার বল জালে পাঠালেও তা বাতিল হয় অফসাইডে। শেষ পর্যন্ত ৪-০ গোলের বড় জয়ে ফেভারিট বার্সেলোনা প্রমাণ করল তাদের আধিপত্য, আর প্রতিপক্ষদের দিয়ে রাখল কড়া বার্তা—এই দলটিকে থামানো সহজ হবে না।
এফপি