রঙিন দুনিয়া ছেড়ে পরিবার নিয়ে দূরদেশে থিতু হয়েছেন বাংলাদেশের রুপালি পর্দার নায়িকা শাবনূর। প্রায় এক দশক ধরে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে থাকছেন নায়িকা। এর মধ্যে কোনো কাজ থাকলে দেশে আসেন, নয়তো আসেন না।
তবে শাবনূর দেশে আসলেও খানিকটা সময় নিয়েই আসেন। কিছু কাজ থাকলে তা সেরে আবার চলে যান। এতটা দিন এই তারকার সঙ্গে নিজ দেশের সম্পর্ক এখন এমনই।
কিন্তু এবারও দেশে এসেছিলেন শাবনূর। এতটাই চুপিসারে এসে ঘুরে গেছেন কে, কাউকে বুঝতেও দেননি। অবশ্য, কেনই বা বুঝতে দেবেন; এমন ভালো পরিস্থিতিতেও ছিলেন না নায়িকা। সে সময় তার মাঝে ছিল ব্যাপক উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ও শঙ্কা।
দেশের আসার এই খবর সদ্যই জানিয়ে দেন নায়িকা নিজেই। গণমাধ্যমকে দেওয়া এক বার্তায় শাবনূর জানান, সে সময়টা পুরোটা অস্থিরতায় কেটেছে তার। তাই তেমন কাউকে জানানোটা হয়ে ওঠেনি। কিন্তু কী কারণে এত তাড়াহুড়া ছিল শাবনূরের?
জানালেন, নিজের অসুস্থ মা কে নিয়ে যেতেই ঢাকায় এসেছিলেন শাবনূর। তা আবার খুবই স্বল্প সময়ের জন্য। মাত্র আট ঘণ্টা ঢাকায় অবস্থান করেন নায়িকা।
শাবনূর বলেন, ‘এক মাস ধরে আম্মা বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। ঢাকার বড় বড় হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দেখিয়েছেন। তাতে কাজ হয়নি, আম্মার অসুস্থতা আরও বাড়তে থাকে। আম্মার নিউমোনিয়া হয়েছে। ২৮ মার্চ এমন অবস্থা হয়েছিল, আম্মা কথা বলার মতো শক্তি হারিয়ে ফেলছেন। আমি সেদিন রাতেই অনেক কষ্টে টিকিট পেয়ে যাই, একা- এক কাপড়েই রওনা হই। পুরোটা সময় যে কীভাবে কেটেছে বোঝাতে পারব না।’
নায়িকা বলেন, ‘ঢাকায় চিকিৎসকেরা একের পর এক শুধু আম্মার টেস্ট করাতে বলছেন। একপর্যায়ে হাসপাতালে ভর্তি করাতেও বললেন। কিন্তু এ অবস্থায় আমি কোনোভাবে হাসপাতালে ভর্তি করাতে ভরসা পাচ্ছিলাম না। আমি আম্মাকে দেশে রাখব না। এসেই তাকে নিয়ে উড়াল দেব। শুনেছি, আম্মারও কষ্ট হচ্ছিল। এসেই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাড়াহুড়ো করে আম্মার লাগেজ গুছিয়ে আবার উড়াল দিলাম।’
শাবনূর আরও জানালেন, সিডনি ফেরার সঙ্গেই তার মাকে সেখানকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এর পরদিন থেকে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হতেও শুরু করে। তার মা এখন পুরোপুরি সুস্থ- জানিয়েছেন নায়িকা।
এসএম/টিএ