ঠাকুরপুকুর কাণ্ড নিয়ে টলিপাড়ায় ঝড় বইছে। বিশেষ করে তারকাদের মাদকে আসক্তি নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এমন সময় টলিউডের অন্দরে অনেকেই কী করা উচিত আর কী করা উচিত নয়, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন।
যদিও এসবকে গায়ে মাখছেন না অভিনেতা ও বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়া চট্টরাজ। বরং গভীর রাতেই বেরিয়ে পড়েছে লং ড্রাইভে। বিয়ের পরের জীবনটাও চুটিয়ে উপভোগ করছেন এই জুটি।
রাত ১.৫০-মিনিটে লং ড্রাইভে বেরিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে শ্রীময়ী বললেন, আমরা লং ড্রাইভে বেরিয়েছি। তবে গাড়ি চালাচ্ছি না। কাঞ্চন গাড়ি চালাতে পারে না। আমরা ড্রাইভারের ওপর ভরসা রেখেছি। বিয়ের এক বছর হয়ে গেছে। বন্ধুত্বের ১৪ বছর। মেয়ের জন্ম হয়েছে। তা-ও প্রেম করতে বেরিয়েছি। আমরা ড্রিঙ্ক করছি। চা খাচ্ছি।’
তাদের বিয়ের রিসেপশনে, ড্রাইভারদের অসম্মান করা হয়েছে, এমন বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এদিন কাঞ্চন বললেন, ‘ড্রাইভারের উপর ভরসা রাখুন। গাড়ির ব্যাকসিটে প্রেম করুন। চা খান। এরকম লং ড্রাইভে বেরিয়ে প্রকৃতি দেখতে পারেন, ধাবায় তরকা-রুটি খেতে পারেন।’
কাঞ্চনের কথার রেশ ধরে শ্রীময়ী বললেন, ‘আমাদের জীবনের আনন্দ উদযাপনে মদ বা মাদকজাতীয় জিনিসের দরকার পড়ে না। আমরা বৃষ্টিভেজা প্রকৃতি দেখি, ড্রাইভারের সঙ্গে গল্প করি, গান শুনি। পাশাপাশি এটাও বলছি, অনধিকার চর্চা করছি না। তবে জীবন খুব দামি। যে পেশার সঙ্গেই কেউ যুক্ত হন, এমন কিছু করবেন না, যাতে জীবনে কোনও বড় ক্ষতি হয়ে যায়।’
টলিপাড়ায় এমন অনেক বিয়ে আছে, যেখানে প্রেম হারিয়ে গেছে। বর-বউ একজন-অন্যজনের কাছ থেকে সরে যেতে চান। সেখানে বিধায়ক-অভিনেতা কাঞ্চন যেভাবে শ্রীময়ীর সঙ্গে যেভাবে প্রেমে মাতলেন, তাতে করে এই মুহূর্তে সংসার করার পাঠ তিনি দিতে পারেন, তা নিয়ে সংশয় নেই।
এসএন