জনগণের কল্যাণের জন্য সংস্কার করা উচিত। কোনো অবস্থাতেই বিদেশি প্রেসক্রিপশন বাস্তবায়নের চেষ্টা না করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম।
তিনি বলেন, ড. ইউনূস সাহেব (প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস) যদি কোনো অবস্থাতে পাশ্চাত্যের অপসংস্কৃতি যেমন ট্রান্সজেন্ডার, সমকামিতা আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন তাহলে তিনি থাকতে পারবেন না। যদি সরকারকে সংস্কারের জন্য জনগণ সময় দেয় তাহলে সময় দেব। আর যদি জনগণ সময় না দেয় তাহলে দেব না। প্রয়োজনে সরকারকে গণভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় চাঁদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে উপজেলা যুব সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, যৌক্তিক সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে বাংলাদেশে নতুন ফ্যাসিবাদের জন্ম হবে। কোনো দলের কাছে নতি স্বীকার করে সংস্কারের আগে নির্বাচন দিলে জনগণ এমন নির্বাচন মেনে নেবে না। ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই একটি দলের সারা দেশে চাঁদাবাজি ও দখলবাজি প্রমাণ করে তারা ক্ষমতায় এলে দেশে নতুন ফ্যাসিজম তৈরি করবে। নতুন বাংলাদেশের জনগণ আর কোনো ফ্যাসিজম দেখতে চায় না।
ফয়জুল করীম বলেন, পয়লা বৈশাখের আড়ালে ভিনদেশি সংস্কৃতি চালুর মাধ্যমে দেশের মানুষকে মুশরিক বানানোর পাঁয়তারা চলছে দীর্ঘদিন যাবত। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার এ মুশরিকি কার্যক্রমের পূর্ণতা দিয়েছে। ফ্যাসিস্ট আমলে পূর্ণতা পাওয়া কোনো কার্যক্রমকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা সহ্য করা হবে না।
তিনি গাজাবাসীর সমর্থনে আগামী ১২ এপ্রিলের ‘মার্চ ফর গাজা কর্মসূচি’ সফল করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, যুবকরা জাগ্রত হলে আবু জাহেল আবু লাহাবের গোষ্ঠী লেজ গুটিয়ে পালাবার সুযোগও পাবে না।
ফয়জুল করীম জাতীয় নির্বাচনের আগে সকল স্থানীয় নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি জোরালো আহ্বান জানান।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন কুমিল্লার বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মুহাম্মদ জয়নাল আবদিন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলার সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মাকসুদুর রহমান, সেক্রেটারি কেএম ইয়াসিন রাশেদসানী, যুবনেতা মুফতি ইমরান হোসাইন, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর সদর উপজেলার সভাপতি শেখ মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, সেক্রেটারি কেএম ইয়াসিন রাশেদ সানীসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
এফপি/টি