যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে ছয়জন আরোহী নিয়ে ছোট একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় বিমানটিতে থাকা কেউই বেঁচে নেই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এএফপি সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা বোর্ডের (এনটিএসবি) কর্মকর্তা টড ইনম্যান স্থানীয় সময় রবিবার সাংবাদিকদের জানান, নিউইয়র্কের পূর্বাঞ্চলের কোপেইকে ‘একটি প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার’ তদন্ত চলছে।তবে তিনি মৃতের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে বলেননি।
স্থানীয় সময় শনিবার দুপুরের পরপরই মিৎসুবিশি এমইউ২বি৪০ সংস্করণের বিমানটি স্থানীয় কলাম্বিয়া কাউন্টি বিমানবন্দর থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরের একটি খোলা মাঠে বিধ্বস্ত হয় বলে জানান ইনম্যান। নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিমানে থাকা ছয়জনই নিহত হয়েছে। পরিবারের এক সদস্যকে উদ্ধৃত করে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নিউইয়র্ক টাইমসের তথ্য অনুসারে, নিহতদের মধ্যে ছিলেন পাইলট ও নিউরোসার্জন মাইকেল গ্রফ, তার স্ত্রী সার্জন জয় সাইনি, তাদের দুই সন্তান ও সন্তানদের সঙ্গীরা। তারা একত্রে ২৫তম জন্মদিন ও পাসওভার উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন।
ইনম্যান জানান, বিমানটি আছড়ে পড়ার আগ পর্যন্ত অক্ষত ছিল। তবে ধাক্কার তীব্রতায় সেটি ‘চাপা খেয়ে ধসে যায় এবং মাটিতে গেঁথে যায়’।
তিনি বলেন, ‘কলাম্বিয়া কাউন্টি বিমানবন্দরে অবতরণের সময় পাইলট একটি মিসড অ্যাপ্রোচ (ব্যর্থ অবতরণ প্রচেষ্টা) রিপোর্ট করেন এবং আরেকটি অ্যাপ্রোচের জন্য নির্দেশনা চান।
এ ছাড়া দুর্ঘটনার আগে আবহাওয়া খারাপ হচ্ছিল এবং দৃষ্টিসীমা কমে যাচ্ছিল বলেও জানান ইনম্যান। তিনি আরো বলেন, পাইলট অভিজ্ঞ ছিলেন এবং বিমানটির ককপিট সম্প্রতি আধুনিকায়ন করা হয়েছিল।
সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক বিমান ও হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার মধ্যে এটি সর্বশেষ ঘটনা। এএফপির তথ্যানুসারে, এর আগের সপ্তাহে হাডসন নদীতে একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ছয়জন নিহত হয়।
তার আগে গত জানুয়ারিতে ওয়াশিংটনে একটি সামরিক হেলিকপ্টার ও যাত্রীবাহী বিমানের সংঘর্ষে ৬৭ জনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া গত শুক্রবার ফ্লোরিডার বোকা রেটন বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পর একটি হালকা বিমান বিধ্বস্ত হয়। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে এবং এতে তিনজন নিহত হয়েছে।
এফপি/টিএ